জাহাঙ্গীর আলম কাজল , নাইক্ষ্যংছড়ি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু এলাকায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত আবু ছিদ্দিকের স্ত্রীসহ সংস্পর্শে আসা স্বজনদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ২১ এপ্রিল সকালে পর্যন্ত যাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের একজন ছাড়া সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টি,এস) ডা. আবু জাফর মো.ছলিম।
তিনি জানান, বান্দরবানের পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা শনাক্তে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করার পর থেকে আমরা উপজেলা পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ শুরু করি। তার মধ্যে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার আবু ছিদ্দিক নামের এক বৃদ্ধের শরীরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তাকে একদিন হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে মোবাইলে চিকিৎসা দিয়ে পরদিন ১৭ এপ্রিল কতৃপক্ষের নির্দেশে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী তার শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়লেও তার মধ্যে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।তার পরিবারের স্ত্রীসহ সংস্পর্শ ২০ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করার কথা থাকলেও গত ১৮এপ্রিল শনিবার আবু ছিদ্দিকের স্ত্রীসহ তার পরিবার ও সংস্পর্শ ব্যক্তিদের নমুনা (সেম্পাল) সংগ্রহ করা হয়েছিল মাত্র ১০জনের।
পরদিন ১৯ এপ্রিল রবিবার ওই পরিবারের আরও ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিলো। ওই পাঠানো ১৭ জনের সবাইর রিপোর্ট নেগেটিভ বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন ডা: আবু জাফর মো,ছলিম। তিনি আরও বলেন, আক্রান্ত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিকের শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকায় এবং স্ত্রীসহ সংস্পর্শ ব্যক্তির নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় একটু স্বস্তিতে আছি। রোগী নিয়মিত খাওয়াদাওয়া খাচ্ছেন। তাঁর শাররীক অবস্থা বেশ ভালো আছেন। আইসোলেশনে থাকা ৫ দিন যাবত কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। এ আক্রান্ত রোগীর আগামী বৃহস্পতিবার পূনঃরায় নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টে পাঠানোর পর রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে রোগীর চিকিৎসা বিষয়টি।

উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশ ও ফ্লু কর্ণার ইউনিট খোলার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তির এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত মোট ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে একজন করোনা পজেটিভ আইসোলেশনে রয়েছেন।