মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চকরিয়া থানা পুলিশের কঠোর তৎপরতায় বদলে যাচ্ছে বিভিন্ন বাজারের দৃশ্যপট! আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে কেবল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
এদিন সকালে জনবহুল ডুলাহাজারা বাজারের দৃশ্যপট বদলের দৃষ্টান্ত দেখে পুলিশের তৎপরতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে স্থানীয় সচেতন জনতা। ওই সময় তেলিপট্টি সড়কসহ বাজারটির সকল অলিগলি অনেকটা জনশূণ্য হয়ে পড়ে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী চকরিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ আকবর সিকদার বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করেও যখন মানুষকে আটকে রাখা যাচ্ছিল না তখন বাজারগুলোতে গণ জমায়েত বন্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানকালে মাত্র এক ঘণ্টা কঠোর তৎপরতায় ডুলাহাজারা বাজারের পুরো দৃশ্যপটই বদলে যায়।
এদিকে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে গতকাল সোমবার নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। এতে তিনি জেলার সকল জনসাধারণকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে অনুরোধ করেন।
পুলিশ সুপার স্ট্যাটাসে আরো উল্লেখ করেন- বিপদ আপনার দরজায় হাজির হয়েছে। সাত পদের তরকারি খাওয়ার জন্য বাজারে যাওয়া, তুচ্ছ কারণে বাইরে বের হওয়া বন্ধ করুন। বেঁচে থাকলে অনেক প্রকার তরকারি খেতে পারবেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে প্রকারান্তরে আপনি নিজেকেই ফাঁকি দিচ্ছেন। আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করবো। এই দুর্যোগের সময় আপনি আইনের মারপ্যাঁচে পড়ুন এটা আমরা চাই না।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট পুলিশ ফাঁড়ি গেইটে অভিযান চালাতে লক্ষ্য করা গেছে হাইওয়ে পুলিশ। ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নওফেল বিন আলমের নেতৃত্ব অভিযান পরিচালনা করতে লক্ষ্য করা গেছে। এসময় মহাসড়কে গণপরিবহন ও অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখেন। এর আগেরদিন সরেজমিনে পুলিশ ফাঁড়ি মাঠভর্তি টমটম, সিএনজি, হিউম্যান হলার জিটু ও পণ্যবাহী ভ্যান আটক থাকতে লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় এক বয়োবৃদ্ধ মুরুব্বী বলেন, প্রাণঘাতী করোনা থেকে প্রাণে বাঁচতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুলিশের এই কঠোর ভূমিকায় মানুষের সাময়িক কষ্ট হলেও এটি সকলের মেনে নেওয়া উচিৎ। এই দূর্যোগ থেকে যেন আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেন।
চকরিয়া থানার ওসি মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।