খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সৌদি আরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কাউন্সির (লেবার) মোঃ আমিনুল ইসলাম ও তার সহধর্মিণী।

তিনি বর্তমানে জেদ্দা সোলেমান হকি হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন বলে রিয়াদ দূতাবাসের প্রেস উইং জানিয়েছেন।

তবে ঢাকার এ প্রথম বিদেশি মিশনে কর্মরত কোনো কর্মকর্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেল।

কাউন্সিলর (লেবার) মো. আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশ মিশন, জেদ্দায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ২ বছর ৮ মাস ধরে। জেদ্দা এবং এর আশপাশ প্রদেশের নিয়মিত করোনা আপডেট দিতেন তিনি।

জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল করোনা উপর্সগ জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি জেদ্দা সোলেমান হকি হাসপাতালে কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম ও তার সহধর্মিণী আসমা হাসনিন কোহিলি।

রোববার কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট আসার পর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি মিশনগুলোর কূটনীতিকদের মধ্যে।

করোনার সৌদিতে প্রবাসীরা ব্যাপক হারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেও এ প্রথম সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোন কূটনৈতিক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মদিনায় একটি কোম্পানিতে কর্মরত প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের কারোনা টেস্ট করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ অনুরোধে বাংলাদেশি শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পরামর্শ , সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কর্মরত শ্রমিকদের করোনা টেস্ট করতে সহযোগিতা করার জন্য গত ২ এপ্রিল কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম শ্রমিকদের পরামর্শ নিতে মদিনায় সফর যান।

মদিনা থেকে ফিরে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তা যে বরাদ্দ আসছিল জেদ্দার কন্সাল জেনারেল ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে প্রবাসীদের মাঝে বিতরণ করার কার্যক্রমে অংশ নেন এ কর্মকর্তা। কিন্তু দুইদিন যেতে না যেতে সামান্য অসুস্থতা বোধ করছিলেন তিনি। ঘরে থাকা ওষুধ দিয়ে প্রাথমিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু জ্বর বাড়তে থাকায় নিকটাত্মীয় এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গত ১৯ এপ্রিল সৌদি আরবে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮৮ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩৬২ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৯৭ জন। সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৩৯৮ জন। চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৭৮৬৭ জন।