কোয়ারাইন্টাইনে রোহিঙ্গাসহ ৮৮২ জন

কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত ৪জনের চিকিৎসা চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল, ২০২০ ০১:৪০ , আপডেট: ২০ এপ্রিল, ২০২০ ০১:৪৬

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


শাহেদ মিজান, সিবিএন:

কক্সবাজারের মহেশখালী ও টেকনাফের করোনা আক্রান্ত চারজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে টেকনাফে আক্রান্ত ব্যক্তিকে রোববারই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তবে মহেশখালীর তিনজনকে আজ সোমবার ভর্তি করা হয়। তাদেরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আইলোশেন সেন্টারে ভর্তি করে স্বাস্থ্য বিভাগ। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মোঃ মাহবুুবর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল জানান, নমুনায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসার খবর পাওয়ার পরই টেকনাফের বাহার ছড়ার মারিশ বনিয়া এলাকার মোঃ হোসাইন (৫৫) এর বাড়িতে যায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের দল। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। নিয়ম মতে জেলা প্রশাসনের তৈরিকৃত রামুর কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানকার কর্তৃপক্ষ ওই রোগীকে সেখানে ভর্তি করাতে অস্বীকৃতি জানান। শেষে বাধ্য হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন সেন্টার করে ওই রোগী ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

জেলা প্রশাসনের তৈরিকৃত রামুর কোভিড-১৯ আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল।

মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, মহেশখালীতে একদিনেই প্রথমবারে তিনজন করোনা রোগী ধরা পড়েছে। যদিও তারা ঢাকা থেকে এসেছে। তাদের নমুনায় করোনা সনাক্তের পর সাথে সাথে তাদের বাড়ি লকডাউন এবং তাদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদের হোম কোয়ারাইন্টাইনের নির্দেশ দেয়া হয়। প্রাথমিক সিদ্ধান্তে তিন রোগীকে বাড়ি রেখেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মোঃ মাহবুুবর রহমান জানান, সনাক্ত হওয়া চার করোনা রোগীকে সর্বোচ্চ পদ্ধতি এবং আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশা করি তারা সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবেন।

তিনি আরো বলেন, করোনা রোধে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে শুরু থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে আসছিলো। কিন্তু মানুষের অসচেনতা আমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। লকডাউন না মেনে ভাইরাস নিয়ে বাইর থেকে ঢুকে আমাদের কক্সবাজারকে অত্যন্ত ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছে।

করোনা অন্যান্য সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে সিভিল সার্জন জানান, পুরো জেলায় বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে আছে ১০৮ জন এবং হোম কোয়ারাইন্টাইনে রয়েছে ৩৭৮ জন। কোয়ারাইন্টাইনে শেষ করে সুস্থ অবস্থায় ছাড় পেয়েছে ৫৮৬ জন। অন্যদিকে মালয়েশিয়া ফেরত ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাও কোয়ারাইন্টানে রয়েছে।