ইমাম খাইর, সিবিএন:
করোনা শনাক্ত হওয়া টেকনাফের বাহারছরার বাসিন্দা আম ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোছাইন (৫৫) এর ট্রাক গাড়ি চালক দিল মোহাম্মদের বাড়ি লকডাউন করেছে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত প্রায় ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: নিকাজ্জামান চৌধুরী নিজেই জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নিদানিয়া গ্রামের বাড়িতে যান এবং লকডাউন সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে আসেন।
দিল মোহাম্মদ ওই এলাকার মৃত সোলাইমানের ছেলে।
বাড়িতে যারা আছে তাদের সবাইকে ১৪ দিন পর্যন্ত লকডাউনে থাকতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ঘর থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
এছাড়া চালক দিল মোহাম্মদের সাথে থাকা জাহাঙ্গীর নামের আরেককেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উখিয়ার ইউএনও।তিনি সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত ফরিদ আলমের ছেলে।
এ সময় জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী ও ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধার্থ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রাতে গিয়েই ড্রাইভার দিল মোহাম্মদের বাড়ী লকডাউন এবং তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।আজ সোমবার দিল মোহাম্মদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
দিল মোহাম্মদের সঙ্গে থাকা আরেকজনকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, দিল মোহাম্মদের ভাষ্য হলো- তাদের সঙ্গে ৪ জন ছিল। বাকি দুই জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নি।
করোনা শনাক্ত হওয়া মোহাম্মদ হোছাইন জানিয়েছেন, তিনি যে ট্রাকে করে ঢাকা গিয়েছিলেন সেটি চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর।
উল্লেখ্য, রবিবার (১৯ এপ্রিল) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষায় আম ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোছাইনের করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ছাড়া একই আরো তিনজনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
তারা হলো -মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর মুকবেকী এলাকার মো. বশিরের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী আবু হানিফ (১৭), ৫নং ওয়ার্ড মুরংঘোনা এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে মো. রায়হান (২৪) এবং বড়মহেশখালী মিয়াজিপাড়ার গৃহবধূ হালিমা সাদিয়া (২৫)।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।