মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তে মহেশখালী থানা পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে কোন মানুষ শাপলাপুরে ও চকরিয়া হয়ে মহেশখালীতে গোপনে প্রবেশ ও বাহির হতে না পারে। রোববার দিবাগত রাত ৯ টা থেকে চেকপোস্টর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর সিবিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, ভয়াবহ করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধে মহেশখালীবাসির নিরাপত্তার জন্যই কক্সবাজার জেলা পুলিশ এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যদি গোপনে মহেশখালীতে কেউ প্রবেশ করার খবর কারো জানা থাকলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করে বিষয়টি পুলিশকে তাৎক্ষণিক অবহিত করার জন্য তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ওসি মহেশখালী মোবাইল ফোন নাম্বার : ০১৭১৩-৩৭৩৬৬৯।

এদিকে, চকরিয়ার বদরখালী ব্রীজ দিয়ে খাদ্য, ওষুধ, রোগী, মৃত দেহ ও জরুরি অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী ছাড়া আর কিছু পরিবহন করা যাবেনা বলে বিজ্ঞপ্তি জারী করেছেন, চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান। কেউ এ আদেশ অমান্য করে বদরখালী ব্রীজ পার হতে চাইলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে স্যাম্পল টেস্টে মহেশখালীর ৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে। তারা ৩ জনই গত ১৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে মহেশখালীতে এসেছে।

মহেশখালীর এই ৩ জন করোনা রোগী ২ জন শাপলাপুর ইউনিয়নের। তারা হলো-মুকবেকী এলাকার মোঃ বশিরের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মোঃ রায়হান (২৪) এবং অপরজন মুরুং ঘোনা এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র আবু হানিফ (১৭), সে ছাত্র। এছাড়া একই উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়ার হালিমা সাদিয়া (২৫), সে গৃহবধু।