ইমাম খাইর, সিবিএন:

ক’দিন পরেই পবিত্র রমজান সমাগত। এই মাসে বিশ্বের অন্যান্য দেশে নিত্যপণ্যের দাম কমানো হলেও বাংলাদেশের চিত্র উল্টো। সব খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ে।করোনা পরিস্থিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে, সে জন্য আগেভাগে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসনের টিম।

রবিবার (১৯ এপ্রিল) শহরের বড়বাজারের বিভিন্ন মজুদদারের সাথে কথা বলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শহরিয়ার মোক্তার।দেখেন বিভিন্ন দোকানের স্টক। যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরী করা না করে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেন ব্যবসায়ীদের।

তিনি বলেন, করোনার কারণে বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, রমজানও আসন্ন। মজুদদারী এবং অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অভিযোগ পাচ্ছি হরহামেশা। বিশেষত পেঁয়াজের মূল্যটা উর্ধ্বমুখী কয়েকদিন ধরে। কারা কিভাবে বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম? কেউ কি অতি মুনাফার লোভে মজুদ করছে? তারা কি আমাদের নাগালের বাইরের কেউ? দাম কি জেলার অভ্যন্তরের কারো কারসাজি? নাকি খাতুনগঞ্জ/চাক্তাই থেকে উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ আসছে?

এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে অভিযান চলছে শহরের প্রধান প্রধান পাইকারদের আড়ত/গোডাউন এবং দোকানে। নিরীক্ষা করা হচ্ছে পাইকারী ক্রয়মূল্য-বিক্রয়মূল্য, খুচরা ক্রয়মূল্য-বিক্রয়মূল্য।সামঞ্জস্য দেখা হচ্ছে গোড়াউনে রক্ষিত পণ্যের পরিমাণের সাথে চলমান ক্রয়ের পরিমাণ। আরো কঠোরতর হবে এ নজরদারি।

এসিল্যান্ড বলেন, তৎপর আছি অবৈধ মজুদ ঠেকাতে। অতি মুনাফার লোভে কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ করতে পারবে না।

অতিরিক্ত মূল্য চাওয়ায় এবং দ্রব্যমূল্যের তালিকা না থাকায় নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনেছেন একজন ব্যবসায়ী।

আপনার আশেপাশে অবৈধ মজুদদার/কালোবাজারি/ফটকা কারবারী থাকলে জানান। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করলে জানান।

অভিযানকালে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিন্নাত শহীদ পিংকী এবং লাভলী ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।

পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তাক আহমদ, ব্যবসায়ী নেতা মিজানুর রহমানও তাদের সাথে ছিলেন।