শাহেদ মিজান/হারুনর রশিদ:

মহেশখালীতে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া তিনজনই ঢাকা ফেরত। এর মধ্যে একজন ছাত্র, একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং একজন গৃহকর্মী। সম্প্রতি তারা ঢাকা থেকে নিজ নিজ এলাকায় ফিরেছেন। স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, মহেশখালীতে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুইজন শাপলাপুর ইউনিয়নের এবং একজন বড়মহেশখালী ইউনিয়নের। তিন জনের মধ্যে শাপলাপুরের দুইজন পুরুষ এবং বড়মহেশখালীর জন নারী।

শাপলাপুরের আক্রান্ত দুইজনের মধ্যে একজন হলেন মুকবেকী এলাকার মোঃ বশিরের পুত্র আবু হানিফ (২৫) গার্মেন্টসকর্মী এবং ৫নং ওয়ার্ড মুরংঘোনা এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র মোঃ রায়হান (১৭) ছাত্র। অন্যদিকে বড়মহেশখালী মিয়াজিপাড়ার বাসিন্দা হালিমা সাদিয়া (২৫) গৃহবধূ। ঢাকায় করোনার প্রকোপ বাড়ার পর তারা নিজ এলাকায় ফিরে আসেন।

শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান, শাপলাপুরের দুইজনই প্রায় ১০ দিন আগে ফিরেছেন। তারা ঢাকা থেকে এ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি শাপলাপুর আসেন। অন্যদিকে গৃহকর্মী সাদিয়াও কয়েকদিন আগে নানা কৌশলে ঢাকা ফিরে আসেন বলে জানা গেছে।

শাপলাপুরের আবু হানিফের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, একদিন ভোরে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে ১০/১২ জন আসেন।  সেখানে নারীও ছিলো।

মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য  কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনেকে কক্সবাজারের বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহেশখালী ফিরেছেন। এর মধ্যে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামসহ অন্যান্য করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে যারা মহেশখালী ফিরেছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে রোববার (১৯ এপ্রিল) তিনজনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। করোনা পজেটিভ হলেও উপসর্গ না থাকায় তাদের তিনজনকেই  হোম কোয়ারাইন্টাইনে রাখা হয়েছে।

মহেশখালীতে একদিনেই তিনজন করোনা সনাক্তের পর পুরো উপজেলা জুড়ে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। করোনা সনাক্ত হওয়ার পর প্রশাসন অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে গেছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে আজ রোববার একদিনেই চারজনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে  প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রোববার ৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কক্সবাজারের প্রথম আ্ক্রান্ত খুটাখালী মুসলিাম খাতুন (৭০)সহ কক্সবাজারে মোট পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত হলো।