শাহীন মাহমুদ রাসেল :

এর নাম নিয়তি। এর নাম কপাল। গত কয়েকমাস আগেও যাঁর দৈনিক ৫শত টাকা আয় হতো আর সংসারে খারারের অভাব ছিলনা, সেই তাঁকেই এখন রাত কাটাতে হচ্ছে না খেয়ে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব বন্ধ হয়ে গেছে। স্ত্রীর অন্যের বাড়ীতে কাজও নেই। খারারের সন্ধানে বের হয়ে পা ভেঙ্গে ফিরেছে। সহায়সম্পদ বলে কিছু নেই। এখন চোখের সামনে অনিশ্চয়তার ছবি আর পেটে উদগ্র ক্ষুধা। অথচ মানসম্মানবোধ আর চক্ষুলজ্জার কারণে কারও কাছে হাত পাতাও যাচ্ছে না। তাই খেয়ে না-খেয়ে কোনোরকমে দিন পার হচ্ছে।

কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া ঘাটপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী রিকশাচালক রশিদ আহাম্মদের অবস্থাপন্ন পরিবার তাঁর পা ভাঙ্গার পর থেকে এমন মানবেতর অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। রিকশা চালিয়ে দৈনিক যা আয় হতো তা দিয়ে ঘরে শতবর্ষী অসুস্থ মাসহ পরিবারের ৬ সদস্যের সংসার কোনমতে চলতো। কিন্তু কপালের লিখন খণ্ডায় কে?

গত কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তাড়া খেয়ে পা ভেঙ্গে জীবনে নেমে অসে ঘোর অন্ধকার। তার জীবন আজ বিপর্যস্ত। বেঁচে থাকার চেষ্টায় সহায় সম্বল যা ছিল তা সব উজাড় করে পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে থাকলেও পরিবার পরিজন নিয়ে সাংসারিক দৈন্যদশার যাতাকলে পিষ্ট হলেও যেন কাউকে কিছু বলতে পারছেন না।

ঘরে শতবর্ষী অসুস্থ মা ও পরিবারের সদস্যরা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্যনকারী মানুষটা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। টাকার অভাবে চিকিৎসাও চালাতে পারছেন না।

করোনা ভাইরাসের ছোবলে জেলার শত শত পরিবারের রোজগার বন্ধ হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে রশিদ আহাম্মদ নামের এক রিকশা চালক নিঃস্ব হওয়া এবং তার মায়ের জীবনের শেষবেলায় এসে অভাবের মুখে পড়ার গল্প যে কাউকে আপ্লুত করবে। বাস্তবতা হলো জেলার বিভিন্ন স্থানে এখন কয়েক হাজার ‘রশিদ আহাম্মদ’-এর দেখা মিলবে, যাঁরা করোনা ভাইরাসের কারণে নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করছেন।

তাই প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তশালীদের সহায়তা কামনা করা হয়েছে। সাহায্য পাঠানোর জন্য রশিদ আহাম্মেদের পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার ০১৮৭৮৩৩৮০৯৩।