মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে করোনা জীবাণু ধরা পড়া তাবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিক (৭০) কে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসন ইউনিটে সুস্থ আছে। বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ছাড়া আবু ছিদ্দিক এর শরীরে কোন করোনা ভাইরাস উপসর্গ দেখা দেয়নি। আগামী ২৩ এপ্রিল আবু ছিদ্দিকের দেহের স্যাম্পল কালেকশন করে আবারো টেস্টের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হবে। বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.জেড.এম সেলিম সিবিএন-কে জানিয়েছেন।

আবু ছিদ্দিককে ঘুমধুমে তার বাড়ি থেকে এনে গত ১৭ এপ্রিল রাত্রে নাইক্ষ্যইংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আইসোলেসন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। আবু ছিদ্দিকের দেহে করোনা ভাইরাস উপসর্গ না থাকলেও অধিকতর নিরাপত্তার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে আইসোলেসনে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ.জেড.এম সেলিম আরো জানান, করোনা রোগী আবু ছিদ্দিক মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত হলেও তিনি প্রায় সুস্থ আছেন। তারপরও স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে তিনি কম সচেতন হওয়ায় অন্যান্য লোকজনের সংস্পর্শে আসার আশংকা থাকায় তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আগামী ২৩ এপ্রিল তার শরীরের আবার স্যাম্পল পরীক্ষা করা হবে।

করোনা রোগী আবু ছিদ্দিক নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে জিরো পয়েন্টের কোনার পাড়ার মৃত মোখলেসুর রহমান এর পুত্র। গত ১৬ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে স্যাম্পল টেস্টে তার শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে। তার দেহে করোনা ভাইরাস উপসর্গ না থাকায় একইদিন বিকেলে তার বাড়ী সহ আশেপাশের এলাকা লকডাউন (Lockdown) করে দিয়ে তাকে হোম কোয়ারান্টাইন রাখা হয়। করোনা রোগী আবু ছিদ্দিককে সার্বক্ষনিক নজরদারিতেও রাখা হয়েছিলো।

উক্ত করোনা রোগী তাবলীগে লম্বা চিল্লা দিতে গিয়ে দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছেন। সেখানে তাবলীগে থাকাবস্থায় উক্ত করোনা রোগী করোনা স্বাস্থ্য নির্দেশনা মোটেও মানেননি। গত ৬ এপ্রিল তাবলীগ জামাতের চিল্লা শেষে করোনা রোগী আবু ছিদ্দিক নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধমের নিজ বাড়িতে আসেন।