সিবিএন ডেস্ক:

আফ্রিকা মহাদেশে দক্ষিণ সুদানে ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন ৫ জন। ১ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার এ দেশটিতে ভেন্টিলেটর আছে মাত্র ৪টি। মধ্য আফ্রিকান রিপালিকে ৩টি, মালিতে ৩টি, কঙ্গোতে আছে মাত্র ৫টি ভেন্টিলেটর। লাইবেরিয়ার অবস্থা একই, সেখানে মাত্র ৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন আছে যার একটি আবার দেশটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পেছনে গেটে বসানো। আফ্রিকার অন্য দেশগুলোতে ভেন্টিলেটর মেশিনের ভয়াবহ সংকট, ১০টি দেশে কোনো ভেন্টিলেটরই নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, আফ্রিকার ৪১টি দেশের ৭০ কোটি মানুষকে সেবার দিতে মাত্র ২ হাজারের মতো ভেন্টিলেটর মেশির রয়েছে। অন্যদিকে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি ভেন্টিলেটর রয়েছে।

নিউইর্য়ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোতে হাসপাতালের বেড, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) স্বাস্থ্য সরঞ্জামের ভয়াবহ সংকট রয়েছে।ছবি: সংগৃহীতশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এই রোগে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে আফ্রিকায় ১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

জ্যামিতিক হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এই মহাদেশে। গিনিতে প্রতি ৬ দিনে এবং ঘানায় প্রতি ৯ দিনে শনাক্ত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে।

সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অন্তত ১ লাখ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোতে এখনো অনেক কম সংখ্যক করোনা ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা হচ্ছে। টেস্টের সংখ্যা বাড়লে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়বে এবং প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে।

ওই সংস্থা আরও বলছে, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে আফ্রিকার অনেক দেশ ভুগবে। আফ্রিকা মহাদেশে আগামী ছয় মাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এক কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সারাবিশ্বে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী করোনা বিশ্বে এ পর্যন্ত মারা গেছেন কমপক্ষে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫১৮ জন। একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু দেশ করোনায় আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার প্রকৃত সংখ্যা না জানিয়ে কম প্রকাশ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।