রফিক মাহমুদ,উখিয়া:

উখিয়া উপজেলার পালংখালী এলাকায়একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দিকে উপজেলার পালংখালী, থাইংখালী হাকিমপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকাবাসীর কাছ থেকে লুকিয়ে দুই পরিবারের সম্মতিতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দু’জন ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এলাকার লোকজন নিয়ে আয়োজিত বিয়ের আসরে বাঁধা প্রদান করে।

এলাকাবাসীরা জানায়, উভয় পক্ষই থাইংখালী হাকিমপাড়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ছেলের (ছদ্ম) নাম : আব্দুল করিম (১৮), পিতা : আব্দু রহিম ও মাতা : ছেনুয়ারা বেগম। মেয়ের(ছদ্ম) নাম : ছমিরা আক্তার মুন্নি (১৭) পিতা : মৃত আশরাফ আলী ও মাতা : ধইয়া বিবি।

জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী ছেলের বয়স মাত্র ১৮ বছর ৩ মাস ১৫ দিন ও পরিবারের সূত্র মতে মেয়ের বয়স আনুমানিক ১৭ বছর ৩ মাস। ছেলের পারিবারিক তথ্য অনুযায়ী ছেলে রাজমিস্ত্রী কাজ করে এবং মেয়ের পারিবারিক তথ্য অনুযায়ী মেয়ে থাইংখালী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। জানাগেছে, ছেলে-মেয়ে দুজনই দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিনের প্রেমের অবসান ঘটিয়ে তাদের বিয়ে করার ইচ্ছে জাগলে তারা তাদের বাবা-মাকে জানায়। পরে তাদের ছেলে-মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে দুুই পরিবার ঐক্যমত পোষণ করার মাধ্যমে বিয়ের আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়। যা চেয়ারম্যান পন্ড করে দেয়।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান,”এই করোনা পরিস্থিতিতে সকলের নীরবতার সুযোগ নিয়ে তারা উভয় পরিবারের ভিত্তিতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে। এমতবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বাঁধা প্রদান করা হয়। পরে তাদের বিয়ে বন্ধে তিনশো টাকার স্টাম্পে একটি লিখিত অঙ্গিকার নামায় ছেলে ও ছেলের বাবার স্বাক্ষর নেওয়া হয় এবং মেয়ে ও মেয়ের ভাই সিরাজ মিয়ার স্বাক্ষর নেওয়া হয়।”

তিনি বলেন,”উক্ত অঙ্গিকার নামায় সরকারি বিধান অনুযায়ী যতদিন ছেলে ও মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়নি ততদিন পর্যন্ত তাদের বিয়ে স্থগিত করা হলো। অর্থাৎ ছেলের বয়স যতদিন পর্যন্ত ২১ ও মেয়ের বয়স ১৮ বছর হয়নি ততদিন পর্যন্ত বিয়ে ও তাদের মধ্যে অবাধ মেলামেশা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”