মোহাম্মদ শাহাব উদ্দীন,মহেশখালী:

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার প্রতিবন্ধি
সালাউদ্দীন। হাত পা কিছুই নেই তার, পড়ে দশম শ্রেনীতে উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। কঠিন সংগ্রামী ছেলেটি লিখে পা দিয়ে, মুখের সাহায্যে পৃষ্ঠা উল্টায়, খাতা ভাজ করে! হাত পা ছাড়া দুনিয়াতে এসেও তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর প্রবল আগ্রহের জোরে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পেয়ে ছুটে যান ১৬ এপ্রিল দুপুরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম। এসময় ইউএনও তাকে নগদ টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগী করা হবে বলে জানান।

তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিক উল্লাহ বলেন
পরীক্ষায় সে এক্সট্রা কোন সুবিধা না নিয়ে নির্ধারিত সময়েই লেখা শেষ করে খাতা জমা দিয়ে দেয়!
প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা অধিদফতর থেকে বছরে ২ বার সে অল্প কিছু টাকা পায়, তা দিয়ে কোন রকমে খাতা-কলমের খরচটা হয়ে যায়!

প্রতিবন্ধি সালাউদ্দীনের বাবা মোহাম্মদ জালাল বলেন তার
৭ জনের সংসার দিনমজুর করে কাজ করতাম। এখন বেকার। তাও ছোট খাট ককাজ করে এত বড় সংসার টেনে নিতে গিয়ে উনি হাপিয়ে উঠেছেন! এসবের বাইরে ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার খরচ চালানোও উনার জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান।

প্রতিবন্ধি সালাউদ্দীন বলেন, আমি পড়ালেখা করতে চাই। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় বলে ইউএনও কে জানান।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন প্রতিবন্ধি সালাউদ্দীনকে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে। তার পরিবারসহ আশপাশের বেশ কিছু দরিদ্র পরিবারকে ত্রান দেওয়া হয়।