খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব
সৌদি আরবে হুহু করে বেড়ে চলছে মরণব্যধি রোগ করোনা ভাইরাস। এ করোনা বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শ্রম বাজার হিসাবে পরিচিতি মধ্যপ্রাচ্য দেশ সৌদি আরব।

এ শ্রমিকদের জন্য ও নিরাপদে রাখতে সৌদিতে বিভিন্ন শ্রমিক ক্যাম্পে গণবসতিতে থাকা বিদেশি শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে, সৌদি আরবের শিক্ষামন্ত্রী, করোন ভাইরাস মহামারী বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসাবে সৌদি আরবের ১৩টি প্রদেশের ৩হাজার ৪৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকদের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।

সৌদি আরবে অনেক দেশের প্রবাসীরা কাজ করেন ,আক্রান্ত শ্রমীকদের অনেকেই এক বাসায় গাদাগাদি করে থাকেন। মূলত তাদের জন্যই এ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।

সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রদেশে মাদ্রাসা খোলা আছে। এগুলিকেই করোনা প্রতিরোধ কেন্দ্র বানিয়ে ফেলা হবে। হতদরিদ্র সৌদি প্রবাসীরা যারা এক বাসায় অনেকে গাদাগাদি করে থাকেন মূলত তাদের জন্যই এ ব্যবস্থা।

একদিকে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী ৭০% করোনায় নিহত রোগী প্রবাসী।আমাদের এক রিপোর্টে এসেছে দেশটিতে এদের ২২.৩৪% প্রবাসী বাংলাদেশি প্রবাসী।

করোনা বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি সরকার, এবং করোনাভাইরাস নিয়ে নির্দেশনা না মানলে নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার ব্যাপারে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সৌদি আরবে ইতিমধ্যেই সকল গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে, এবং ২৪ ঘন্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে মক্কা, মদিনা, রিয়াদ সহ গুরুত্বপূর্ন সকল শহরে ও সকল গুরুত্বপূর্ন প্রদেশে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যদি কেউ এই কারফিউ অমান্য করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরবে গতকাল ১৫ এপ্রিল বুধবার নতুন করে আরো ৪৯৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও ৬ জনের হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

এ নিয়ে গত ২ মার্চ থেকে চলিত মাস ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮৬২ জন। সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৯৩১ জন ও সৌদির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৮৫২ জন। এদের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সৌদি আরবে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হুহু করে বেড়েই চলেছে।এ রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় খরচে রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করে স্বদেশের নাগরিক ও প্রবাসীদের জন্য ত্রাণ সমাগ্রীর ব্যবস্থা করছে সৌদি আরব সরকার।