অনলাইন ডেস্ক : নাটোরের একজন কৃষক শহিদুল ইসলাম ৩৩৩-এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার গত রোববার (১২ এপ্রিল) ডেকে আনেন কৃষককে।

এরপর ৩৩৩ নম্বরে ফোন করায় এলাকার সম্মান গেছে জানিয়ে কৃষক শহিদুলকে ব্যাপক মারধর করেন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। মারধরে রক্তাক্ত হয়ে পড়েন কৃষক।

বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার ফেসবুকে জানতে পারেন নাটোরের একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বিষয়টি নাটোরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজেএম) অবহিত করেন। সিজেএমের নির্দেশনা মোতাবেক আজ আদালতে গিয়ে লালপুর থানার ওসিকে ফোনে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশনা দেন, চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কৃষকের মামলা নিতে।

এরপর আজ বুধবার দুপুরে অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারসহ তিনজনের নামে লালপুর থানায় ভুক্তভোগী কৃষক মামলা করেন বলে জানান লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা।

স্থানীয়রা জানান, লালপুরের ৯নং অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের এক কৃষক শহিদুল ইসলামসহ গ্রামের প্রায় ৩০০ কৃষক করোনাভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে পড়ে।

কৃষক শহিদুল টিভি স্ক্রিনের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায়। এরপর গত ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তিনিসহ গ্রামের সবার জন্য খাদ্য সহায়তা চান। সেখান থেকে খাদ্য সহায়তার আশ্বাস মেলে। ৩৩৩ এর মাধ্যমে অবগত হয়ে ইউএনও চেয়ারম্যানকে ঐ এলাকায় ত্রাণ সহায়তার নির্দেশ দেন।

পরে ১২ এপ্রিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সাত্তার শহিদুল ডেকে এনে মারধর করেন। ৩৩৩ নম্বরে ফোন করায় এলাকার সম্মান গেছে বলে ঐ কৃষককে ধমক দিয়ে বিষয়টি কাউকে না বলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।