বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার পৌরসভার ১নংওয়ার্ডে বর্তমান সময়ের করোনা ভাইরাস আক্রমণে ভয়াবহতার মধ্যে চলছে ইয়াবা ও মদের বেচাকেনা। কুতুবদিয়ার পাড়ার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসহ কয়েকটি মামলা আসামী নুর কাদের তার আস্তানায় এই মাদক কেনাবেচার আসর বসিয়েছে। এতে মাদকাসক্তরা আয় না থাকলেও ঘরের শেষ সম্বল কেড়ে নিয়ে গিয়ে ইয়াবা ও মদ বিক্রি সেবন করছে। এতে তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা অনাহারে থাকছে। এই নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, কুতুবদিয়া পাড়ার নুরুল ইসলাম প্রকাশ ডাঃ নুরুল ইসলামের পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসহ কয়েকটি মামলা আসামী নুর কাদের দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে ইয়াবা ও মদ বিক্রি করে আসছিলো। এতে ওই এলাকার বিভিন্ন মাদকসেবী আড্ডা দিয়ে ইয়াবা সেবন ও মদ পান করতো। কিন্তু বর্তমানে করোনার ভাইরাসের আঘাতে সব কিছু বন্ধ থাকলেও কাদেরের মাদক বিক্রি বন্ধ হয়নি।

অন্যদিকে মাদকসেবীরা কর্মহীন পড়লেও কাদেরের মাদক ব্যববসা বন্ধ হয়নি। কাদেরের মাদকদের আস্তানা খোলা থাকায় মাদকসেবীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তারা বাড়ির স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে থাকা শেষ সম্বল কেড়ে নিয়ে গিয়ে কাদেরের কাছ থেকে ইয়াবা ও মদ কিনছে। এতে তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা অনাহারে থাকছে।

মাদকসেবীরা বাড়ি থেকে শেষ সম্বল অবশিষ্ট টাকাগুলো ছিনিয়ে নিয়ে আনায় স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে মাদকসেবীদের প্রতিদিন মারামারিসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। গত সোমবার কাদেরের বাড়িতে মাদক সেবন করতে যাওয়া স্বামীকে ডেকে আনতে গেলে কাদেরের আস্তনাই মরিয়ম নামে এক স্ত্রীকেতার স্বামী ও কাদের মিলে বেদম পিটিয়েছে।

কুতুবদিয়া পাড়ার বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম, সমিতি পাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম এর স্ত্রী রুপা জানান, তাদের স্বামী নুর কাদেরের ঘরে ইয়াবা সেবন করে হাতে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এভাবে স্ত্রী-সন্তানদের খাবারের টাকা পয়সা শেষ করে দিচ্ছে। এতে তাদেরকে উপোষ থাকতে হবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, মাদক ব্যবসায়ী কাদের মাদকসহ ধরা পড়ে কয়েকবার জেলে গেছে। সম্প্রতি সে জেল থেকে বের হয়ে আবারো মাদক বিক্রিতে জড়িয়ে পড়ে। তার দুই ভাইও তার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী নুর কাদেরের বিরুদ্ধে মাদক পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ধর্ষ ণ, দুটি অস্ত্র ও দুটি ডাকাতি মামলা।  এসব মামলায় ফেরারী রয়েছে সে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি ঝাউবনের জায়গা দখল করে ঘর করে ইয়াবা বিক্রির আস্তানা গড়ে তুলেছে সে। শুধু তাই নয়; মাদক নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথেও কাদের জড়িত বলে স্থানীয় জানিয়েছেন। বর্তমানে রাতে-দিনে আস্তানায় আসর বসিয়ে মাদক বিক্রি করছে কাদের। পুলিশের নজর ফাঁকি দেয়ার জন্য এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে বসিয়ে পাহারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ১নং পৌর কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে আমরা এলাকার লোকজন প্রশ্রয় দেবো না। কাদেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।