জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম:
গত ২৪ ঘণ্টার করোনা পরীক্ষায় নগরীর পাহাড়তলী এলাকার সাগারিকাতেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক নারীসহ চারজন। এছাড়া সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশা এলাকার আলী নগরের ইছামতি গ্রামের পাঁচ বাসিন্দা আজ করোনায় শনাক্ত হয়েছেন।

এনিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-এ নতুন ১১৮ নমুনা পরীক্ষায় আরও ১২ জনকে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

এদের মধ্যে ১১ জনই চট্টগ্রামের, অপরজন নোয়াখালীর বাসিন্দা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির। চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থানা সাগরিকার ৪ জন, সাতকানিয়ার ইছামতি গ্রামের ৫ জন, বোয়ালখালীতে ১ জন, কাতালগঞ্জ এলাকার ১ জন’।

সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইছামতি গ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরের ফকিরহাটে ব্যবসা করতেন। ১৭ দিন আগে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি নিজ বাড়ি সাতকানিয়ার ইছামতি নগরের ইছামতি গ্রামে চলে যান। পরে সেখান অবস্থার অবনতি হলে ১ এপ্রিল রাতে উপজেলার কেরাণীহাটে বেসরকারি আশ শেফা হাসপাতালে ভর্তি হন। ২ এপ্রিল করোনা সন্দেহে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রেফার করেন চিকিৎসক। পরে চমেকে আনার পথেই ওইদিনই রোগীর মৃত্যু হয়। পরে শনিবার নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট করোনা পজিটিভ আসে।

এ ঘটনায় ওই মরদেহ যারা গোসল করিয়েছেন, কবর দিয়েছেন, তাকে ধরে কান্নাকাটি করেছেন, দাফন কাজে অংশ নিয়েছেন, জানাজার ইমাম ও জানাজায় উপস্থিত লোকজন সবার তালিকা করা হয়। তালিকায় পশ্চিম ঢেমশা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৯০টি পরিবারের তিন হাজার ৭১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু চারদিনের ব্যবধানেই সেখানে আরও পাঁচ করোনা রোগী পাওয়া গেল। এদিকে গত সাতদিনে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনই নগরের পাহাড়তলী থানা এলাকা আশপাশের বাসিন্দা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমরাও আপনাদের মতোই হিসেব করছি। মূলত শহরের প্রবেশপথ ও আশপাশের এলাকায় করোনা আক্রান্তের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। আশঙ্কা করছি এটি চট্টগ্রামে করোনার ক্লাস্টার হয়ে উঠছে। আমাদের কাছে এসব তথ্য ও ম্যাপ আছে, দু এক দিনের মধ্যেই হয়তো এটিকে ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করতে হবে’।