কামাল হোসেন, রামু :
রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নে করোনার চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।তাদের এই উদ্যোগটি উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। মরণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে সমাজকে রক্ষা এবং উপযুক্ততার ভিত্তিতে দুর্গতদের সহায়তা ও ত্রাণের সুষম বন্টনে এলাকার সচেতন মানুষেরা এই সেল গঠন করেন।
দিন দিন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। দেশজুড়ে লকডাউনে জনজীবন বিপন্ন। কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষগুলো মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। এমনি কঠিন মুহূর্তে জোয়ারিয়ানালা সচেতন বিবেকবান মানুষেরা দেন ঐক্যের ডাক।

জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল (শুক্রবার) জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের সচেতনধর্মী বিশিষ্টজনরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল গঠন করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন চৌধুরী প্রিন্সকে প্রধান করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। মনিটরিং সেলের সদস্যরা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে সেখানকার একজন সম্মানিয় ব্যক্তিকে প্রধান করে এবং স্থানীয় মেম্বারকে সমন্বয়ক করে ৯ টি সাব কমিটি গঠন করেন। তাদের কাজ হচ্ছে এলাকার মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি এবং তাদের মাঝে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া,তহবিল সংগ্রহ , জনসমাগম প্রতিরোধ,বিদেশ ফেরত ব্যক্তির কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করণ,উদ্যেমি যুবক ও ছাত্রদের নিয়ে এলাকায় জীবানু নাশক ঔষধ ছিটানো,স্বেচ্ছাসেবক তৈরি, মানুষকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করা,এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পোঁছে দেয়া।

১২ এপ্রিল (রবিবার) ইউনিয়নের হাজ্বী আব্দুল গনী মার্কেটে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধনের মাধ্যমে তাদের যাত্রা শুরু হয়। কার্যালয়টি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। উদ্বোধন কালে তিনি বলেন,দেশের এই ক্রান্তিকালে চলমান করোনা পরিস্থিতি মকাবিলায় এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তিনি প্রতিটি ইউনিয়নে এই ধরনের সেল গঠনের পরামর্শ দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম বারেক বলেন, মনিটরিং সেল গঠনের পর থেকে এলাকার কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।সবে তো শুরু। আমার বিশ্বাস এই সেলের মাধ্যকে ত্রাণের সুসম বন্টন হবে এবল জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।

জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জোয়ারিয়ানা করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের প্রধান সমন্বয়ক কামাল শামসুদ্দিন চৌধুরী প্রিন্স বলেন, এলাকাকে করোনা মুক্ত রাখতে প্রসাশনের পাশাপাশি আমরাও দিন রাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আসলে বিষয়টি সার্বজনিন, তাই সকলের উচিত যার যার অবস্থান থেকে মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের পাশে দাড়ানো। আমার এলাকার মানুষ সেই তাগিদ অনুভব করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল গঠন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। সর্বসাধারনের স্বতঃস্ফূর্ত ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে।ইতিপূর্বে যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে আমাদের সাথে নির্স্বাথভাবে কাজ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এই মনিটরিং সেলে অন্যন্য সদস্যরা হলেন, এমএম নুরুচ্ছাফা সাবেক চেয়ারম্যান , ইন্জিঃ মীর কাশেম, আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আযাদ, মালেকুজ্জামান মেম্বার, ফরিদ বকত বাবুল সাবেক চেয়ারম্যান , জসিমুল ইসলাম সাবেক মেম্বার, সমাজ কর্মী এনামুল হক,এমপির ব্যক্তিগত সচিব
মিজানুর রহমান, সমাজ কর্মী দিলীপ কুমার মহাজন, প্রভাষক আবদুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রনেতা এসএম সাদ্দাম হোসেন, সমাজ কর্মী মোহাম্মদ হাছান প্রমুখ।