চট্টগ্রাম সংবাদদাতা:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা নমুনা সংগ্রহ টিমে থাকা চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ওসমানীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে গত রোববার রাত থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সংস্পর্শ হওয়ায় সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ নূর-এ-আলম বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার তথ্যানুযায়ী, গত রোববার করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের সঙ্গে তাঁরা দুই চিকিৎসক ও পাঁচ কর্মীর সংস্পর্শ হয়েছেন। তিনি আবার আমার সঙ্গে থেকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেছেন। ফলে সতর্কতার জন্য আগেভাগে নমুনা দিয়ে দিয়েছি। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে নিশ্চিত হয়ে কাজ করতে পারবো। সেটা না হলে আমাদের সংস্পর্শে এসে অন্য লোকজন আক্রান্ত হওয়ার ভয় থেকে যাচ্ছে।

সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ওসমানী বলেন, ‘রোববার সাতকানিয়ায় করোনা শনাক্ত হওয়া দুই ব্যক্তিকে আগের দিন হাসপাতালে চিকিৎসা এবং তাদের নমুনা সংগ্রহের সময় আমরা দুজন চিকিৎসক ও পাঁচ স্টাফের সংস্পর্শে এসেছি।

পরে আমি আবার ইউএনও মোহাম্মদ নূর-এ-আলমের সঙ্গে থেকে কাজ করেছি। আমার সংস্পর্শ হওয়া রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় সতর্কতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আমরা দুজন চিকিৎসক ও পাঁচজন স্টাফের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বুঝতে পারব, কোনো সমস্যা হয়েছে কি না। এ ছাড়া আক্রাদের সংস্পর্শে যাওয়ার কারণে সতর্কতার জন্য বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছি। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগাম সতর্কতার জন্য আগেই নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া।

এ সময় তিনি সরকারি নির্দেশনা মেনে সাতকানিয়াবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।