মোঃ নেজাম উদ্দিন:
আরার গিন আরা হাইদ্যে, সরকার এহনো ত্রা ন-দে! (আমাদেরগুলো আমরা খাচ্ছি, সরকার এখনো ত্রাণ দেয় নি) বলে দুঃখ করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের পল্লবী লেইন সমাজ কমিটির উপদেষ্টা নওশাদ হোসেন।
তিনি বলেন, করোন ভাইরাসের কারনে কক্সবাজারের পৌরসভার প্রথম লকডাউন এলাকা পল্লবী লেইন। কারণ, কক্সবাজারে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা রোগি এখানেই মেয়ের বাসায় থাকতেন। লকডাউনের কারণে এখানকার বাসিন্দারা ঘর থেকেই বের হতে পারে নি। চরম কষ্টেও মাঝেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের ত্রাণ সামগ্রী এখানকার বাসিন্দারা পায় নি। গরীব অসহায় মানুষগুলোর খোঁজও নেয় নি প্রশাসন।
তিনি বলেন,
সমাজ কমিটির সভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, এই সমাজে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মিলিয়ে প্রায় ৩০০ পরিবার রয়েছে। আজ অবধি কোন জনপ্রতিনিধি বা জেলা প্রসাশন থেকে ত্রান সামগ্রী আসে নি। ফলে এলাকার অসহায় গরীব লোকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
লক্ডাউন উপেক্ষা করে তারা পারছেনা ঘর থেকে বের হতে, পারছেনা কাজ করে আয় উপার্জন করতে।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ এপ্রিল এলাকায় সমাজ কমিটির পক্ষ থেকে একটি তহবিল করে প্রায ৮৫ অসহায় পরিবারকে চাল,চনারডাল, তৈল, পিয়াজ বুট,সাবান,চিনি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করা হয়। আমরা সমাজ কমিটি পক্ষ থেকে এই ধারাবাহিকতা চলামান রাখবো ইনশাআল্লাহ।
পল্লবী লেইন এলাকার কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের এলাকায় গত মাসের ২৪ এপ্রিল থেকে লকডউন ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা বের হতে পারি নাই। তারপরেও স্থানীয় সরকার বা জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কারো খবর নেয়নি। এই লাকায় এমন রোক আছে যারা দৈনিক ইনকাম করে জীবন যাপন করে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে দিন দিন।
এদিকে, কক্সবাজার পৌসভার ৮নং কাউন্সিলর রাজ বিহারী দাশের সাথে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।