হামিদুল হক,  ঈদগড়:
গাঁও-গ্রামের মানুষ এখনও করোনা সম্পর্কে সচেতন নয়। তারা অনেকটা খামখেয়ালিপনার মধ্যেই জীবন যাপন করছে। করোনায় বিশ্ব মহামারী রূপধারণ করলেও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এতটা সচেতনতা গড়ে উঠেনি যতটা দরকার। তারা এখনও করোনা নিয়ে পুলিশি তৎপরতাকে পুলিশি হয়রানি বলেই মনে করছে। গত ৪/৫ দিন রামু উপজেলার ঈদগড়ে কয়েকটি গ্রামের সরেজমিনে ঘুরে এচিত্র দেখা গেছে । সোমবার স্থানীয় হাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে মানুষের সয়লাভ বাজার এলাকা। বিকেলবেলা দুইবার পুলিশের উপস্থিতিতে মানুষের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয় । কিছুক্ষণ পর পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার লোকজন চলে আসে ।

এর ২০ মিনিট পর আবারো পুলিশ এলে মানুষ চলে যায় এরপর আবার পুলিশ চলে গেলে লোকজন ভিড় জমায়। বারবার পুলিশের আগমনকে স্থানীয় লোকজন বিরক্তের কারণ মনে করছে ।

স্থানীয় এক দোকানদার বিরক্তির সাথে বলেন “পুলিশের যন্ত্রণা আর ভাল লাগে না। করোনাকে আমরা ভয় পাই না। আমাদের এলাকায় করোনা আসে নাই। এটা বড়লোকের রোগ”।

ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে কিছুক্ষণ পর পরই সিএনজি-অটোরিকশা চলতে দেখা যায়। গাড়ির ড্রাইভাররা বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে আমাদের সবাই চেনে তাই ফাঁকে ফাঁকে আমরা গাড়ি চালাই, পেট চালাতে তো হবে।’

রবিবার বিকালে দেখা যায়, লোকজনের ভিড় দোকানদারি বেচাকেনা সবাই চলছে । মূল সড়কে লোক না থাকলেও গলিতে লোকজনের ভিড় বাড়ছে ।

ঈদগড় পানিশ্যাঘোনা এলাকায় নারায়নগঞ্জ থেকে আসা নুরুল হাকিম নামের এক ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে ।

এদিকে গ্রামের মানুষের মধ্যে উদাসীনতা থাকলেও রামু থানার এসআই সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশ সর্বাত্বক করোনা বিষয়ে জনসচেতনতায় দায়িত্ব পালন করছেন ।

এর মধ্যে অনেক স্থানে কাটা গাছ ডালপালা দিয়ে রাস্তাঘাট লকডাউনের চেষ্টা করছেন যাতে অন্য এলাকার মানুষ না আসতে পারে।

আবার বিদেশি কেউ এলাকায় আসলে পুলিশকে খবর দিয়েছেন অনেকে। গত কয়েকদিনে এমন কিছু খবর প্রতিবেদক এর কাছে এসেছে।