সিবিএন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন প্রত্যয়ে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধ হোক এবারের বাংলা নববর্ষের অঙ্গীকার। প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষ ১৪২৭ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

তিনি দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জনগোষ্ঠী বর্ষবরণ উৎসবকে ঐতিহ্যগতভাবে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়, হালখাতা উৎসব, নতুন পোশাক এবং মিষ্টান্নসহ হরেক রকমের খাবারের জমজমাট ব্যবসা-সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষ বিনোদনের পাশাপাশি আজ দেশের অর্থনীতিতে নতুনত্ব এনেছে।

তিনি বলেন ‘আমরা বাঙালির এই শ্বাশত সর্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বাংলা নববর্ষ উৎসব ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে। নববর্ষে আয়োজিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ আজ ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে’।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠন করে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হচ্ছে। আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।

করোনাভাইরাস সংক্রমণে বর্তমানে বিশ্ব বিপর্যস্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে মহামারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সবাইকে জনসমাগম এড়িয়ে এবারের বাংলা নববর্ষ ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসে উদযাপনে আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন, সকলে সম্মিলিতভাবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি’।