এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

করোনা সংক্রমণের দুর্যোগ-দু:সময়ে জীবিকা হারানো মানুষের পাশে এগিয়ে এসে মানবিক সহায়তার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান। দুর্দিনের এইসময়ে তিনি ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে কর্মহীন মধ্যবিত্ত ও দুস্থ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন।

করোনা দুর্যোগের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশের আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী এবং কক্সবাজারের জনবান্ধব পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের নির্দেশে পুলিশ পরির্দশক হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মধ্যবিত্ত, দুস্থ, কর্মহীন পরিবারের খোঁজ নিয়ে খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন।

সরকারি অফিস কার্যক্রম পরিচালনার ফাঁেক ফাঁেক সরকারি গাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তিনি প্রতিদিন উপজেলার কোননা কোন এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন। এলাকা ঘুরে ঘুরে সর্বসাধারণকে ঘরে অবস্থান করার আহবান জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত জীবিকা হারানো পরিবার খুঁেজ তিনি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা বিত্তবানদের দেয়া সাহায্য প্রকাশ্যে নিতে পারছেনা, ওসি হাবিব বিতরণকালে এসব পরিবারকে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এই দূর্যোগে বিত্তবান সবাই নিজ এলাকার গরীব, অসহায়, কর্মহীন পরিবারের পাশে দাঁড়ালে প্রতিটি পরিবার একটু হলেও বেঁেচ থাকার অনুপ্রেরণা পাবে। তাই সকলধরণের অসংকোচ পরিহার করে সবাইকে গরীবদের কল্যাণে এগিয়ে আসা উচিত। মানুষ বিপদের মুহুর্তের সহযোগিতা সারাজীবন মনে রাখবে।

তিনি বলেন, সরকার প্রধানের নির্দেশনার আলোকে ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে আমি এই দুর্যোগ-দুর্দিনে জীবিকা হারানো মানুষের পাশে থাকতে চেষ্ঠা করেছি। সাধ্যমতো গরীব মানুষ গুলো সহযোগিতা দিতে এগিয়ে গেছি।

ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, জনসাধারণ সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন থেকে রক্ষা পাবে। সেইজন্য সবাইকে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা হতে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে হবে। কোন অবস্থাতে বাইরে ঘুরাফেরা করা যাবেনা। #