খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব :
মহামারি করোনায় নয়, অবরুদ্ধ ও গৃহবন্দী হয়ে মানসিক ও পারিবারিক চিন্তায়, অভাব, অনাটন ও অর্থ সংকটে নিজ বাসা অথবা হাসপাতালে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে বাংলাদেশি সৌদি আরব প্রবাসীরা।
একদিকে সমগ্র বিশ্বকে কাঁপানো মরণব্যধি রোগ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। অন্যদিক করোনার চেয়ে ভয়নক প্রবাস মানসিক চিন্তা। এ প্রবাসে বিভিন্ন চিন্তায় হ্নদয়রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রবাসীদের মৃত্যু হয়।
গত ১২ এপ্রিল একদিন সৌদি আরবের পবিত্র নগর মক্কা-মদিনা ও জেদ্দায় করোনায় ২ জনসহ হ্নদয়রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধার মৃত্যু হয়।
মক্কা নগরীর সরাইয়া নিজ বাসায় বিকালে ঘুমন্ত অবস্থায় বুকে ব্যথাজনিত কারণে প্রবাসী মোহাম্মদ আলী (৪৩) মৃত্যু হয়। তার খুলনা জেলায়।
মিসফাল্লাহ দাহালায় নিজ বাসয় হঠাৎ স্ট্রোক করে মুহাম্মদ জানে আলম (৫৫) মৃত্যু হয়।
মক্কা-প্রবাসী জানে আলমের বাড়ী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজির হাট পৌরসভা এলাকায়।
সোক জাফারিয়া পাইকারী মার্কাটের ব্যবসায়ী মুহাম্মদ শফি সওদাগর (৬০) মক্কা নগরীর একটি সরকারি হাসপাতাল মৃত্য হয়।
মক্কা-প্রবাসী মুহাম্মদ শফি সওদাগরের বাড়ী চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ছিবার বাড়ির গ্রামে।
এদিকে সৌদিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে
কোনভাবেই যেনো থামানো যাচ্ছে না প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দিনের পর দিন বেড়েই চলছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। সৌদি আরবে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৬২জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। দূতাবাস এবং কনস্যুলেট এবং স্বজনদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত সৌদিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ বাংলাদেশি প্রবাসী।
সবশেষ মারা যাওয়া দুই বাংলাদেশি হলেন বরগুনার জেলার বামনা উপজেলার গোলাঘাটা কড়ইতলার আব্দুস সাত্তার খন্দকারের ছেলে রুস্তম খন্দকার এবং চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চরভাঙ্গার মোহাম্মদ ফিরোজের ছেলে মোহাম্মদ জাহিদ ও নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার আবু তাহেরের ছেলে সাইফু উদ্দিন টুটুল।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার শ্রম কল্যাণ কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।