২০১৮ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকের শূণ্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ৪ ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৫/০৯/২০১৯ মৌখিক পরীক্ষার এবং ২৪/১২/২০১৯ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। চুড়ান্ত ফলাফলের পর কোটা অনুসরণ হয়নি মর্মে হাইকোর্টে রীট দায়ের করা হয় এবং প্রায় ২ মাস নিয়োগ বন্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত রীট স্থগিত হওয়ার পর সহকারি শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। কক্সবাজার জেলায় নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকগণ ১৩/০৩/২০২০ তারিখে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে এবং ১৪/০৩/২০২০ তারিখে কর্মস্থলে যোগদান করেন। ১৭ /০৩/২০২০ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ ঘোষনা করা হয় এবং আগামী ২৮/০৫/২০২০ পর্যন্ত পবিত্বর রমজান উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকবে। নিয়োগ পাওয়া অনেক শিক্ষক বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে বা NGO -তে চাকুরীরত ছিলেন। চুড়ান্ত ফলাফলের পর তারা সে চাকুরী ছেড়ে দেন। চাকুরীতে যোগদানের পর তাদের সার্ভিস বুক ওপেন করা, ই প্রাইমারি স্কুল সিস্টেমে তথ্য আপলোড করা, ব্যাংক একাউন্ট খোলা, সর্বোপরি বেতন ফিক্সেশন করার কিছু প্রক্রিয়া রয়েছে। বন্ধের কারণে মহেশখালী উপজেলায় নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে তারা বেতন প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। একদিকে পূর্বের চাকুরী ছেড়ে দেওয়া এবং অপরদিকে নতুন চাকরীতে যোগদান করেও বেতন না পাওয়ায় তারা অনেকটা বেকার জীবন যাপন করছেন এবং অর্থ সংকটে ভুগছেন। এ অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের বেতন-ভাতাদি পাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

মুহাম্মদ রবিউল হোছাইন
প্রধান শিক্ষক
কায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মহেশখালী। ০১৭১৩৬১৪৭১৮