মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আসসালামু আলাইকুম।
জাতির এই ক্রান্তিকালে আপনার নিরলস, কর্মপ্রচেষ্টা, আপনার শ্রম, সাধনা, মেধা, মণীষা, ত্যাগ-তিতিক্ষা মানুষের হৃদয়ে চিরদিন গ্রথিত থাকবে। মুদ্রিত, অম্লান হয়ে থাকবে।
সীমিত সম্পদের দেশে আপনার অনুদান প্রশংসার দাবী রাখে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
বঙ্গোপসাগরের পানির সমপরিমাণ অনুদান দিলেও কিছু সংখ্যক অর্থলোভী, বিত্তশালী ও কতিপয় জনপ্রতিনিধি শকুনের মত অনুদান গ্রাস করছে।
যারা অনুদানের প্রাপ্য তারা অনেকেই “নীরবে-নিভৃত্তে কাঁদছে”।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমি একজন অতি নগণ্য কর্মী। আপনাকে কিছু লিখার যোগ্যতা আমার নেই। তারপরও সাহস করে লিখছি।

১. প্রত্যেক জেলায় ডি.সি/এস.পি/সেনা কর্মকর্তা এবং প্রত্যেক দপ্তরের কর্মকর্তাসহ তিন বা ততোধিক বেসরকারি প্রতিনিধি নিয়ে জেলা কমিটি গঠন পূর্বক অনুরূপ উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে অনুদান প্রদান।
২. যেখানে স্বজন-প্রীতি, দুর্নীতি, চুরি ও গুদামজাত হয় সেখানে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তড়িৎ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা প্রয়োজন।
৩. রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা অনুদানে কোথায় ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে, অনিয়ম হচ্ছে তা নিরুপন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ।

জাতির এই সংকট মুহূর্তে সারাদেশে “বিবেকবান মানুষের ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হোক।”
গোটা দেশবাসীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আল্লাহ্ মহান নেত্রীকে বাঁচিয়ে রাখুন।
“আল্লাহ তুমি সহায়”

মোহাম্মদ হোসাইন (বিএ)
সম্পাদক
দৈনিক আপন কন্ঠ।