নুপা আলম :

সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের যুদ্ধে লড়ছে। যে যুদ্ধ চলছে বাংলাদেশেও। ইতিমধ্যে দেশের অন্যান্য জেলার মতো কক্সবাজারেও চলছে লকডাউন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে করোনা মোকাবেলার নানা কর্মসূচি নিয়ে। যেমনভাবে মানুষকে ঘর বন্ধি রাখতে চলছে তৎপরতা, তেমনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে মানুষ। এ পরিস্থিতিতে কক্সবাজার শহরে বসবাসরত এক তরুণ অভিনব এক প্রতারণার জাল বুনেছে। বিভিন্ন নারীকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় সহ নানাভাবে হয়রানী করছে এ তরুণ। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসন সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী কয়েকটি পরিবার।
অভিনব কায়দায় ব্ল্যাকমেইলিংকারি এ তরুণের নাম মোহাম্মদ আল আরাফাত। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার মৃত ছৈয়দুল আলমের পুত্র।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে করা লিখিত অভিযোগ সূত্র জানা যায়, টেকনিক্যাল কলেজ থেকে পাস করে বেকার তরুণ মোহাম্মদ আল আরাফাত একটি প্রতারক চক্র পরিচালনা করে আসছে। তার নেতৃত্বে কয়েকজন বেকার তরুণ এ চক্রের সদস্য। এসব তরুণরা কক্সবাজার শহরে টার্গেট করে বিভিন্ন নারীর সাথে ভাব তৈরী করে। অনেক ক্ষেত্রে প্রেমের ফাঁদে ফেলা হয়। তারপর ওই নারীর ছবি-ভিডিও, পরিবারের সদস্যের ছবি, মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে থাকে। তা সংগ্রহ শেষে শুরু করে নানা মিশন। প্রথম মিশন হিসেবে এসব নারীর ছবি ফটোশটের মাধ্যমে এডিটিং করে অশ্লীলভাবে তৈরী করে। আর এসব ছবি ইমো, ভাইবার, হোয়াটসটের মাধ্যমে ওই নারী ও পরিবারের সদস্যদের প্রেরণ করে নানা হুমকি প্রদান শুরু করে। একই সাথে নামে-বেনামে তৈরী করে ফেসবুক একাউন্ট। ওই সব ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে। তারপর ওই সব নারী পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার দাবী শুরু করে।
মোহাম্মদ আল আরাফাতের নেতৃত্বের ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সদস্যের হুমকিতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু নারীর পরিবার টাকাও দিয়েছে। কিন্তু এতেও রক্ষা পাচ্ছে না এসব নারীর পরিবারের সদস্যরা। ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন, টাকা আদায়ের কিছু দিন পর আবারো ওই নারীর ছবি ফেসবুকে প্রচার করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে ধরতে চেষ্টা শুরু করেছে।