বিশেষ সংবাদদাতা :

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও কক্সবাজারে চলছে যত্রতত্র নির্বিচার পাহাড় কর্তন। সম্প্রতি খুরুশকুলে নির্বিচারে পাহাড় কর্তনে পরিবেশের ভয়াবহ বির্পযয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে গুটিকয়েক পাহাড় খেকো লোকজনের জন্য পাহাড়, রাস্তাঘাট দিনদিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অতিসত্বর প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর,বন বিভাগ ব্যবস্থা না নিলে অচিরে খুরুশকুলের আর কোন পাহাড় পর্বত সবুজের ঘেরা দৃশ্য আর দেখা মিলবে না।

চারদিকে শুধু পাহাড় কর্তন ও জায়গায় মাটি ভরাট। সরকারি আইনকে অমান্য করে সংঘবদ্ধ মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্র পাহাড়ের মাটি অবৈধ ভাবে কেটে ট্রাক ডাম্পার ও পিকআপ যোগে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে। বন বিভাগের পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দালান, বাড়িঘর ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করতে হাজার হাজার ফুট মাটি প্রয়োজন। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে সরকারি বনভূমি হতে পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি একের পর এক পাহাড় কর্তন করেই যাচ্ছে। বর্তমানে এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বন বিভাগ নামের কোন ডিপার্টমেন্ট নেই।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম আধার পাহাড়। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাহাড় এবং পাহাড়ে অবস্থিত বনজঙ্গল, পশু-পাখি, জীবজন্তু—সবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে ও নির্বিচারে পাহাড় কাটিবার পরিণতি কখনো শুভ হবে না।

২০১০ সালের পরিবেশ আইনের মাধ্যমে পাহাড় কাটাকে একটি অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হইয়াছে। এই আইনের বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সরকারি পাহাড় গুলো সুরক্ষা করতে অবিলম্বে পাহাড় কর্তন এবং মাটি পাচার বন্ধের জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিকট দাবি জানিয়েছেন।