এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

করোনা ভাইরাসের সংমক্রণ প্রতিরোধকল্পে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে গ্রামের পর গ্রাম স্বেচ্ছায় লকডাউন করে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পাশাপাশি উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে এ ধরনের ব্যবস্থা করায় উপজেলার আভ্যন্তরিণ বিভিন্ন সড়কে সবধরনের যানবাহন ও লোকজনের অবাধ চলাচল কমে গেছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে জনমনে। তবে শ্রমজীবি দিনমুজুর বিশেষ করে টমটম ও রিক্সা চালকরা সড়কে ব্যরিকেট দেয়ার কারণে আগের মতো যাত্রী পরিবহন করতে পারছেনা। এতে এসব দিনমুজুর পরিবারে দুর্ভোগ ও খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন অনেকে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজেলার প্রতিটি জনপদে রাতদিন প্রচারণা চালিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে জনসাধারণকে হোম কোয়ারান্টাইনে অবস্থান করতে উদ্বুদ্ধ করছে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রধান সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছে। যাতে কেউ প্রবেশ ও বাহির হতে না পারে।

চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে আমার ওয়ার্ডের প্রতিটি গ্রামের প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। মুলত স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ সড়কে লোকজনের অবাধ সমাগম ও অযথা চলাফেরা বন্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সড়ক বন্ধের কারণে কারো দুর্ভোগ যাতে না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ সরকারি নির্দেশনা মেনে লোকজনের সামগম ঠেকাতে সবসময় মাঠে রয়েছে। এছাড়া সন্ধ্যা ৭টার পরে ফার্মেসি ছাড়া কোনো ধরনের দোকানপাট খোলা না রাখতে মাইকিং করা হচ্ছে গ্রামেগঞ্জে। লকডাউন স্থানীয়দের একটি ভাল উদ্যোগ।