মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রামু উপজেলার তেচ্ছিপুল এলাকায় সর্দি, কাশি ও জ্বরে একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে যে খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে, তা সঠিক নয়। মূলত রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ায় রোকসানা আক্তার (৫০) নামক যে মহিলাটি বুধবার ৮ মার্চ মারা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন থেকে একজন রক্তরোগী ছিলেন। তার শরীরে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের কোন উপসর্গ ছিলোনা। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া সিবিএন-কে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে একজন মহিলার মৃত্যুর খবরে তা নিশ্চিত হতে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. এফাজুল হকের নেতৃত্বে সরেজমিনে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম সহ মৃত মহিলার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে রোগীর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। মৃত মহিলার পিতা,
পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা উক্ত টিমকে নিশ্চিত করেন যে-মৃত মহিলা রোগী রক্তরোগে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। তাকে নিয়মিত রক্ত দেয়া লাগতো। মৃত্যুর পূর্বে রোগীর কোন সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট ছিলোনা। রোগী বিদেশফেরত কারো সংস্পর্শে ছিলোনা। মৃত্যুর পূর্বে রোগীর বামহাত ফুলে যায়। আর কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম এটাকে করোনা ভাইরাস সাসপেক্টেড কেস মনে করেন নি।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া করোনা ভাইরাস জনিত চলমান এ সংকটে, স্পর্শকাতর সময়ে কোন তথ্য নিশ্চিত না হয়ে প্রচার না করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।