মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা কুতুবদিয়া উপজেলার ২২ জন বাসিন্দাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল দুপুরে তাদেরকে আটক করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ জিয়াউল হক মীর সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরো জানান, কিছু লবণ ব্যবসায়ী ও তাবলীগ জামায়াতে যোগ দিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে গোপনে ট্রলারে করে কুতুবদিয়ায় আসতেছে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম সহ গিয়ে তাদেরকে কুতুবদিয়া প্রবেশের পয়েন্ট পিলটকাটা নামক স্থানে আটকিয়ে ফেলা হয়। পরে তাদেরকে আগে থেকে প্রস্তুত করা ২০৫ শয্যা বিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়।

ইউএনও মোঃ জিয়াউল হক মীর সিবিএন-কে
আরো বলেন, তারা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কুতুবদিয়া প্রবেশ করতে চেয়েছিলো। যেহেতু করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসাবে নারায়ণগঞ্জকে ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাই করোনা ভাইরাস ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তাদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ সময় তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কারো শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে, সে অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর সুস্থভাবে কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে তারা বাড়ি ফিরে যাবে। তাদেরকে পরিবার থেকে খাওয়া দাওয়া সরবরাহ করা হচ্ছে বলে তিনি সিবিএন-কে জানান

প্রসঙ্গত, এর আগেও আরো ৫ জন কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে ছিলো। মঙ্গলবার পাঠানো ২২ জন সহ কুতুবদিয়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে মোট ২৭ জন রয়েছে।