বাংলা ট্রিবিউন:
করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে মানুষ ঘরেই থাকছে সারাদিন। কিন্তু ঘরে থাকাকে দুর্বিসহ করে তুলছে লোডশেডিং। অনেক এলাকার গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, প্রায় প্রতিদিনই লোডশেডিং হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে বাসায় অবস্থানের সময় এই ভোগান্তি মেনে নিতে পারছেন না তারা। গত কয়েকদিন ধরেই এই সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। যদিও সরকারের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো বলছে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা নেই।
রাজধানীর মান্ডার বাসিন্দা আসাদ জানান, আগে এমন কোনওদিন হয়নি। এখন প্রায় প্রতিদিনই বিদ্যুৎ যাচ্ছে। প্রথমে আমি এটাকে যান্ত্রিক ত্রুটি ভাবলেও এখন মনে হচ্ছে লোডশেডিং। কারণ প্রতিদিন তো আর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎ যাবে না।
রামকৃষ্ণ মিশন রোড থেকে অভিজিৎ জানান, প্রায় প্রতিদিন কম করে হলেও ৩০ মিনিট বিদ্যুৎ থাকে না। আগে এত খারাপ লাগতো না। এখন ঘরে বসে আছি। এরপর আবার গরমও পড়ছে। এখন ভোগান্তি হচ্ছে। একই অভিযোগ করেন মিরপুরের বাসিন্দা মাসুদ, রামপুরা হাজিপাড়ার বাসিন্দা মুকুল, মোহম্মদপুরের পারভেজ, নীলয়সহ আরও অনেকেই। বনশ্রীর এফ ব্লকের বাসিন্দা মিথি জানান, তাদের বাসায় আগে কখনও এমন নিয়মিত বিদ্যুৎ যায়নি, কিন্তু এখন প্রায় প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে। রোববারও প্রায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, কোথাও কোনও লোডশেডিং হচ্ছে না। বরং করোনায় ঘরে থাকা মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। কোথাও বিদ্যুতের সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কল সেন্টার ১৬১১৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন,গত রোববার উলন গ্রিডে সমস্যার কারণে প্রায় একঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল এর আশেপাশের এলাকা। আমরা যত দ্রুত সম্ভব মেরামত করেছি। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
শুধু শহরে নয়, গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান আরইবির বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠছে। তবে আরইবি কর্তৃপক্ষও ডিপিডিসির মতো জানিয়েছে তাদের কোনও লোডশেডিং নেই। যান্ত্রিক ত্রুটি হতে পারে। সেক্ষেত্রে একইভাবে তাদের হটলাইন নম্বরে ফোন দিতে বলেছে গ্রাহকদের। তাদের হটলাইন নম্বর হচ্ছে ০২-৮৯০০৫৭৫