সালাহ্ উদ্দিন জাসেদ :

চীন থেকে শুরু হয়ে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। রূপ নিয়েছে মহামারীতে। আর এ করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছে মানুষ। এ পরিস্থিতিতে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতিদিন খাবার বিতরণ করেছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ১০ নং ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান।

প্রতিদিনের মতন আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমাজের গরিব , অসহায় , অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল , তেল , আলু , লবণ , পিয়াজ সহ শুকনো খাবার দেওয়া হয়। আর করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াস, সাবান প্রদান করা হয়।

খাদ্য সামগ্রী নিতে আসা এক দিনমজুর আলমের স্ত্রী রওশন আরা (৪৭) বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ তার স্বামী কোথাও কোন কাজ করতে পারছেন না। ঘরের খাবারগুলো ফুরিয়ে আসছিল। এ সময়ে খাদ্য সহায়তা তাকে চিন্তামুক্ত করেছে।

আরেক গৃহিণী রাবেয়া খাতুন (৩৫) ও পরী বেগম (৪৮) বলেন, তাদের দিনমজুর স্বামী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে কোথাও কাজে যেতে পারছেন না। আর সকল কর্মক্ষেত্র এখন বন্ধ রয়েছে। সন্তানাদি নিয়ে কোনোরকমে খেয়ে গত কয়েকটা দিন অতিবাহিত করেছেন। ঠিক এই সময়ে খাদ্য সামগ্রীগুলো পেয়ে অন্তত ১৫ দিন তাদেরকে কাজের সন্ধান করতে হবে না।

চা দোকানদার ইব্রাহীম বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ৷ কোন অর্থ উপার্জন হচ্ছে না। এতে সংসার চালাতে পারছি না। আজকে এই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে।’

ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে সরকারের পাশাপাশি ও নিজের সমর্থ অনুযায়ী নিম্ন আয় ও দিনমজুরদের পাশে দাড়াচ্ছি। সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলা ও মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।

জনগনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন, আমি ত্রাণ নিয়ে পর্যায়ক্রমে আপনাদের দুয়ারে দুয়ারে খাদ্রসামগ্রী নিয়ে হাজির হব।আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার জন্য চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমি আপনাদের বিপদে পাশে থাকব।

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ছুটি থাকায় আমাদের সমাজে যারা রিকশা-ভ্যান চালায়, চা-বিক্রেতা, ফুটপাতের হকার তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আমি ঝিলংজা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। মানবিক কারণে সমাজের বিত্তবানদেরও নিম্ম আয়ের মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিৎ।