নিজস্ব প্রতিবেদক:

বেকারত্ব ঘুচাতে পড়ালেখার পাশাপাশি পৌরসভাধীন ৬ নং ওয়ার্ডের বড়ুয়াপাড়া বাড়ির পাশে বাবার পরিত্যক্ত জমিতে খামার করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন তপু বড়ুয়া। গড়ে তোলে কর্জ ও ঋণ নিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে উক্ত খামারটি। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে দেশ যখন লকডাউন হয়েছে, যেখানে ত্রাণের জন্য ছুটেছে সাধারণ মানুষ। সে সময়ে অকাল বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের তোড়ে উড়ে গেছে পুরো খামার। বাতাসের চাপে ২ হাজার মুরগীর মধ্যে প্রায় ৮শ মুরগী মারা গেছে। নষ্ট হয়ে গেছ ৮০ বস্তা মুরগীর খাদ্য। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে জানান খামারের মালিক সরকারী কলেজ পড়ুয়া ছাত্র তপু বড়ুয়া (২৩)। সে ওই এলাকার মদন বড়ুয়ার ছেলে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫ টার দিকে সেই প্রচন্ড জড়ো হাওয়ায় খামারটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারের নিয়োজিত শ্রমিক জানায়, বিকাল ৫ টার দিকে আচমকা আসা জড়ো হাওয়াটি প্রথমে খামারের চালটি উড়ে নিয়ে যায়। তারপর পাশের ঘেরাগুলো উড়ে যায়। পরে বাতাসের তোড়ে খামারের সকল মুরগী উড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে আহত হয়ে খামারের প্রায় অর্ধেক মুরগী মারা যায়। ভিজে নষ্ট হয়ে মুরগীর খাবারগুলো। মুহুর্তে এত পরিমাণ ক্ষতি হবে ভাবতে পারি নাই। আমার খামারের মালিক নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকারী সাহায্য না পেলে খামার করা আর সম্ভব হবে না। পরিশোধ করা যাবে না খামার করার সময় নেওয়া ঋণগুলো।

খামারের মালিক বেকার যুবক ছাত্রলীগ নেতা তপু বড়ুয়া জানান, বছর যেতে না যেতেই গেল কালবৈশাখী ঝড়ে খামারের যে ক্ষতি হয়েছে। তাতে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। সরকারী সহযোগিতা না পেলে আর উঠে দাঁড়ানো আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসাইন স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি,আমি অসহায়ের সাহার্যাথে যেন এগিয়ে আসেন।

স্থানীয় কাউন্সিলর ইয়াছমিন আক্তার জানান, গেল ধমকা হাওয়ায় বড়ুয়াপাড়ার তপু বড়ুয়া ও পার্শ্ববর্তী শাহেদের খামার তছনছ হয়ে গেছে। সরকারী সহযোগিতা পাবার জন্য তারা দুজনে আমার কাছে দাবী জানিয়েছে। দুই ক্ষতিগ্রস্ত খামার ব্যবসায়ীর জন্য সরকারী সহযোগিতা খুবই জরুরী। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এগিয়ে এসে সাহার্য্য প্রদানের অনুরোধ জানাচ্ছি।