বিশেষ প্রতিবেদক :

নিজ সন্তান, সন্তানের স্ত্রী-ছেলেদের হাতে দফায় দফায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে রামু বৃদ্ধ এক পিতা। পিতার শেষ সম্বল জমিটুকু দখলে নিতে দফায় দফায় চালানো হচ্ছে এই নির্যাতন। আর নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রীও।

নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি আবদুর রহিম (৭৫) রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের তুলাবাগান সংলগ্ন খালের পাড়ার বাসিন্দা।

বৃদ্ধ আবদুর রহিম জানান, তার প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে আয়েশা বেগমকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তান রয়েছে ২ জন আর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান রয়েছে ৪ জন। তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে একজনের জমিতে ঘর করে বসবাস করেন। তার দখলে থাকা পিএফভূক্ত কিছু জমি রয়েছে। যেখানে তিনি চাষাবাদ করেন। এ জমি দখলে নিতে মরিয়ে হয়ে উঠেছে প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও একাধিক মামলার আসামী দানু মিয়া (৪৪)। এর জের ধরে তার সন্তান দানু মিয়া বিভিন্ন সময় মারধর সহ নানাভাবে হয়রানী করে আসছে। সর্বশেষ গত ৫ মার্চ রোববার দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয় তাকে।

তিনি জানান, দানু মিয়ার সাথে নিজের অপর সন্তান (দানুর আপন ভাই) আবদুল গফুর, নাতি (দানুর পুত্র) রুবেল, দানুর স্ত্রী হাসিনা বেগম মিলে তার উপর এ হামলা চালানো হয়। দা দিয়ে কুপানো ছাড়াও বিভিন্ন আঘাতে তার শরীরে থেথালো চিহ্ন রয়েছে। এসময় হামলা আহত হয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা বেগমও। ভাংচুর করা হয়েছে বসববাড়িটি।

বৃদ্ধ আবদুর রহিম জানান, এর আগে হামলা ও মারধরের ঘটনায় তিনি রামু থানায় অভিযোগ করে ছিলেন। বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) জানে আলম জিম্মায় নিয়ে আসে। কিন্তু তারও কোন সুরাহা পাননি। তিনি এখনো চিকিৎসাধিন রয়েছে। পুত্রের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ সুপার, রামু থানার ওসি সুদৃষ্টি হামলা করেছেন এ বৃদ্ধ।