এম,ডি, ম্যাক্স ,কক্সবাজার :
হঠাৎ করে দেশে নতুন ১৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।
লালদিঘীর পাড়, শহীদ স্মরণী, ৩ রাস্তার মোড় সব এলাকা থেকে জেলা পুলিশ সর্বস্তরের জনগণকে সরিয়ে দিচ্ছেন।
ইতালি, স্পেন যেমন প্রথম দিকে অবহেলা করে ভুলের মাসুল দিচ্ছে, তেমনি ভাবে পৃথিবীর আর কোন দেশ এই কভিড ১৯ কে হালকা ভাবে নিচ্ছেনা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO) এর মতে, এই সময়ে এই ভাইরাস মারাত্মক রুপ ধারনে করে ভয়ংকর, ক্ষতিকর কিছু করে ফেলতে পারে।
কিন্তু আমাদের হুজুগে বাংগালী যেন তার নামের সুবিচার করেছে, বিধিনিষেধ, হোম কোয়ারান্টাইন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যেন ঘর ছাড়ার ডাক দিয়েছে।
আজ সারাদিন পর্যটন নগরীর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর মানুষের সমাগম দেখা গিয়েছে।
টমটম, সি,এন,জি, মোটরসাইকেল, কার সহ হরেকরকম গাড়ির বহর শুরু হয়েছে।
তাই জনগনকে আশু বিপদ আর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাচাঁতে প্রশাসন আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সবাই প্রয়োজনে বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর ।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অনেককে মোটরসাইকেলে ৩ জন আরোহী নিয়েও চড়তে দেখা যায়। সি,এন জি আর টমটমে ৫ থেকে ৭ জনের প্যাসেঞ্জার।
জনসচেতনতার কোন কার্পণ্য রাখছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, কিন্তু আমাদের সাধারণ জনগনের যেন টনকই নড়ছেনা।
জাতিসংঘের মহাসচিব হুশিয়ারি বার্তা পাঠিয়েছেন যে, দক্ষিন এশিয়া হবে এই করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক স্থান।
তাই এখনই সময় ভাইরাসের এই মোড় ঘোরানোর ফাদেঁ না পরার।