মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ডিলারদের মাধ্যমে প্রতিকেজি ১০ টাকা দামের চাল বিক্রি প্রক্রিয়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ নির্দেশনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

কক্সবাজার পৌরসভার ১২ টি ওয়ার্ডের ১২ টি পৃথক পয়েন্টে কেজি ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে রোববার ৫ এপ্রিল সকাল থেকে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাগরিকেরা তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) দেখিয়ে, নিজ নিজ মোবাইল ফোন নাম্বার ডিলারের খাতায় লিখে দিয়ে প্রতিজন ৫ কেজি করে চাল ক্রয় করছেন। রোববার দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভার চাল বিক্রির কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, ঘেঁষাঘেঁষি করে দীর্ঘ লাইন ধরে চাল ক্রয়ের জন্য মানুষ দাড়িয়ে আছে। ডিলারের লোকজন চাল বিক্রির পাশাপাশি লাইন দাঁড়ানো মানুষদের ভীড় না করে দুরত্ব বজায় রেখে চাল ক্রয়ে ইচ্ছুকদের লাইনে দাঁড়াতে বার বার অনুরোধ করছেন। কিন্তু কার কথা, কে শোনে। ভীড়ের চাপে বয়স্ক লোকজন রীতিমতো হাঁপিয়ে উঠেছেন। এ অবস্থায় সকলের মন্তব্য ছিলো, এভাবে চাল বিক্রির প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে চাল বিক্রির ভীড় থেকেই করোনা ভাইরাস জীবাণু সংক্রামণের আশংকা বেশী।

এধরনের কেজি ১০ টাকা দামের চাল বিক্রি সপ্তাহে ৩ দিন অর্থাৎ রোববার ৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার ৭ এপ্রিল এবং বৃহস্পতিবার ৯ এপ্রিল, এই ৩ দিন সকাল ১০ টা হতে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ডিলারের দোকানে চলবে। প্রতি ডিলারের দোকানে প্রতিদিন ২ টন করে চাল বিক্রি করা হবে। এ অবস্থায় কেজি ১০ টাকা দামের চাল বিক্রি প্রক্রিয়া পরিবর্তন নাহলে এনিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য প্রয়োজনে ডিলারদের চাল বিক্রির দোকানে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে হলেও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশিত দুরত্ব বজায় রেখে চাল বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনেকে দাবি তুলেছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আবদুল খালেক তাঁর নিজস্ব ফেসবুক আইডি’তে পোস্ট দিয়ে বলেছেন-

“সরকারি সহায়তায় ১০ টাকা দামে চাউল বিক্রি শুরু —-
তবে যে ভাবে লাইনে দাঁড়িয়েছে ——
এমন ভাবে না দাডিয়ে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে আইন শৃংখলা
বাহীনির হস্থক্ষেপ প্রয়োজন -।
জেলা প্রশাসক মহোদয় সদয় দৃষ্টি রাখবেন-
সে আশা করছি —।”