নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্বজুড়ে মানবতাকে তীব্রভাবে কাঁদিয়ে যাচ্ছে প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনা। প্রতি মুহূর্তে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষের জীবন। করোনার আঘাতে পুরো বিশ^ এখন পরাকাস্ত! বাংলাদেশেও করোনা আক্রমণ করেছে। ইতোমধ্যে ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৯জন। এই পরিস্থিতিতে করোনা রোধে সরকার বেশ জোরালোভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নজরদারি করছেন এবং প্রণোদনাসহ নানা সরকারি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও কাজ করছেন।
করোনা রোধে সরকারের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছে কক্সবাজারের মানবতাবাদী স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন। করোনার প্রকোপ শুরু পর থেকে হোপ ফাউন্ডেশন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। করোনা রোধে করণীয় সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলা, হোপ হসপিটাল এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হোপ ফিল্ড হসপিটালে করোনার আলাদা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং হোপ ফিল্ড হসপিটালে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়।
একই সাথে প্রতিষ্ঠানেরও বাইরেও নানা কার্যক্রম চালাচ্ছে হোপ ফাউন্ডেশন। তার মধ্যে রয়েছে জনসাধারণ সচেতন করে ঘরে থাকতে হোপ ফাউন্ডেশন কর্মীরা মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছে। সাথে জরুরী প্রয়োজনে বাইরে থাকা বিভিন্ন পেশার লোকজনকে মাস্ক, গ্লাভস ও সেনিটাইজারসহ নানা করোনা প্রতিরোধী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান বলেন, এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসই মানুষের জন্য বড় হুমকি। এই রোগটি প্রতিদিন হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সে প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশপাশি করোনা রোধেও কাজ করছে হোপ ফাউন্ডেশন। আমাদের আয়ত্বের মধ্যে যা যা করণীয় সব করছি আমরা। যতদিন পরিস্থিতির উত্তোরণ হবে না ততদিন আমরা সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগি হিসেবে কাজ করে যাবো।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের কৃতিসন্তান আমেরিকা প্রবাসী খ্যাতিমান চিকিৎসক ইফতিখার মাহমুদ মিনার অসহায় নারী ও শিশুদের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতেই ১৯৯৯ সালে হোপ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শূন্য থেকে শুরু করা সেই প্রতিষ্ঠান আজ মহীরূপে পরিণত হয়েছে। রামুর চেইন্দায় স্বনামধন্য হোপ হসপিটাল, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিশাল ফিল্ড হসপিটাল এবং জেলা বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ১০টির বেশি বার্থসেন্টার ও মেডিকেল সেন্টার পরিচালনা করছে হোপ ফাউন্ডেশন।