আতিকুর রহমান মানিক#
কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওর ৬/৭ ইউনিয়নে ২৪ ঘন্টা যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
৪ এপ্রিল দুপুরে সামান্য বাতাস বয়ে যায়। এর অজুহাতে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কিয়দংশসহ জালালালাবাদ, ইসলামাবাদ, পোকখালী, ইসলামপুর, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নে অদ্যবধি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় এসব এলাকায় এখন ভুতড়ে অবস্হা বিরাজ করছে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নজিরবিহীন উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনার ফলে অন্ধকারে ডুবে রয়েছে বিশাল উপরোক্ত এলাকা। এতে গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহক এরশাদ বলেন, সামান্য বাতাসের অজুহাতে শনিবার থেকে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন থেকে আর বিদ্যুৎ আসেনি। জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ার গৃহিনী পারভীন বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রক্ষিত দ্রব্যাদি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার গ্রাহক এনায়েত উল্লাহ সিকদার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।
পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীর গ্রাহক হান্নান মিয়া বলেন, সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই প্রায় সময় ২/১ দিনের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়।
ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা প্রেসক্লাব’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন আল নোমান বলেন, প্রকৃতিতে এখন ঝড় বৃষ্টির মৌসূম। তাই সামান্য বাতাসের অজুহাতে শনিবার থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা অযৌক্তিক।
৫ এপ্রিল দুপুরে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপরোক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয় নি বলে জানিয়েছে গ্রাহকরা।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন ঈদগাঁও বিলিং এরিয়া অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বলেন, লাইনে রক্ষনাবেক্ষন ও চেকআপ করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে একাধিক টীম কাজ করছে বলে জানান কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আক্তারুজ্জামান লস্কর।
২৪ ঘণ্টা দেখা নেই বিদ্যুতের
অন্ধকার ঈদগাঁও
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
