এহসান আল কুতুবীঃ
করোনা সংক্রমণ রোধে যেখানে সেখানে জনসমাগম বন্ধ ও অলিগলির জমজমাট আড্ডা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এরপরও হাট-বাজার ও অলিগলিতে থেমে নেই জনসাধারণের সমাগম বা অপ্রয়োজনীয় ঘুরাঘুরি। কক্সবাজার শহরের অলিগলিতে এমন আড্ডা সবসময়ের। আর এসব বন্ধ করতে ও জনসাধারণকে সচেতন করতে শনিবার ( ৪ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
পাশাপাশি আট উপজেলাসহ জেলা শহরে ১৪ টি মোবাইল কোর্ট কাজ করছে সোস্যাল ডিসট্যান্সিং নিশ্চিত করণে। সোস্যাল ডিসট্যান্সিং নিশ্চিত করতে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরেই ৪টি মোবাইল টিম কাজ করেন। প্রতিটি মোবাইল টিম শহরের অলিগলিতে জনসমাগম রোধে অভিযান চালান। এছাড়া আট উপজেলায় আটটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার। অভিযানে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলীসহ নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিতি ছিলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে হার্ডলাইনে রয়েছে সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বন্ধ দিয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপরও জনসমাগম কিছু কিছু এলাকায় হচ্ছে বলে খবর আসে। বেশির ভাগ জনসমাগম হচ্ছে প্রতিটি এলাকার অলিগলিতে। অলিগলিতে জনসমাগম রোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি উপজেলায় একটি করে মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি শহরে অতিরিক্ত ৪ টি মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (রাজস্ব) আরও বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের বিমানবন্দর সড়ক, ফিশারি ঘাট, নুনিয়াছড়া, ঝাউতলা, গাড়ির মাঠ, লালদিঘীর পাড়া, ৬নং ঘাট, বাজারঘাটা, আইপিবি মাঠ, মোহাজের পাড়া ও হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সচেতনমূলক অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি দোকানও। রাস্তায় অযথা বের না হওয়ার পরার্মশও দেয়া হয়। করোনা সংক্রমণ প্রতিহতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করতে কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ায় কাজ করছে মোবাইল কোর্ট।