সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কক্সবাজারের এআরসি টাওয়ারের ৪র্থ তলায় নিজ বাসভবনে নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের করুন অবস্থা সর্ম্পকে আলাপ-আলোচনা করতেছিলাম।
এর মধ্যে আমার মেঝ ছেলে মারুফ ইবনে হোসাইন এসে বলল, মেয়র মুজিব সাহেব খুব জরুরী ভিত্তিতে উক্ত টাওয়ারে ১০ তলায় ছুটে এসেছেন। কথা শুনে খুব দ্বিধাদন্দে পড়ে গেলাম। জানিনা কোন ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কিনা?
মনকে খুব শক্ত করে ১০ তলায় গিয়ে দেখি মেয়র মুজিব, মীর আক্তার লিমিটেড এর ম্যানেজার শরিফ সাহেব ও এবি ছিদ্দিক খোকনসহ আরও দুই-একজন আলাপ-আলোচনায় রত আছে।
কক্ষে ডুকে জিজ্ঞেস করলাম, মামা এই অসময়ে হঠাত করে আপনি এখানে কেন? তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন, চারিদিকে করোনায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষের আহাজারী গোটা জাতী যখন ঘাত-প্রতিঘাতে, ক্ষতবিক্ষত পরিশ্রান্ত শোকাতুর। জাতির এই দুঃসময়ে কিছুক্ষণ আগে কক্সবাজার শহর কাল বৈশাখীতে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। উপড়ে পড়া গাছের স্থুপ ও আবর্জনায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষের দায়িত্ব নিয়ে আমি‘ত বসে থাকতে পারিনা। রাস্তাঘাট পরিষ্কার করার জন্য আমার হাতে মাত্র দুই-তিনটা স্কেভেটর আছে। এই জরুরী মুহুর্তে আরো স্কেভেটর প্রয়োজন।
তাই শরিফ সাহেব থেকে কয়েকটা স্কেভেটর নিতে এসেছি।
দেখলাম, শরিফ সাহেবও মহত্বের পরিচয় দিয়ে স্কেভেটর দিতে রাজী হয়ে গেলেন।
জনগনের প্রতি মেয়রের এই স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালবাসা দেখে নিজেই আবেগে আপ্লুত হয়েছি।
‘‘এইত নেতার নেতৃত্ব‘‘
আজকে জাতীর এই অসময়ে জনপ্রতিনিধি যারা আছেন মেয়র মুজিবের মত রাস্তায় নেমে আসুন। জনগনের পাশে দাঁড়ান। মায়ের মত গোটা এলাকা ভালবাসার চাদরে ঢেকে দিন। মনে রাখবেন-
‍”এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে
এই দিনকে নিয়ে যাবে সেদিনের কাছে”

মোহাম্মদ হোসাইন
সম্পাদক
দৈনিক আপনকণ্ঠ
কক্সবাজার।