শাহেদ মিজান, সিবিএন:

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেছেন, করোনা কারণে সৃষ্ট লকডাউনে মহেশখালীর পান বেচাকেনা বন্ধ থাকবে না। তবে স্বাভাবিক নিয়মকে বদলে বিকল্প ব্যবস্থায় পানের বেচাকেনা হবে। আপাতত তিনি তিনটি বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মধ্যে প্রথমটি হলো পানের পাইকাররা বাড়ি বা পাড়ার মোড়ে মোড়ে গিয়ে পান ক্রয় করবে। দ্বিতীয় ব্যবস্থা হলো, সপ্তাহে পাঁচদিন পানবাজার বসবে সীমিত পরিসরে। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে বাজার বসিয়ে খুঁটি গুজে দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা হবে। তিনটি ব্যবস্থা প্রয়োগ করার জোর দেবেন বলে জানিয়েছেন ইউএনও জামিরুল ইসলাম।
আজ শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে এই তথ্য জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে সৃষ্ট লকডাউনে কোনোভাবেই গণজমায়েত করা যাবে না। তাই স্বাভাবিক ব্যবস্থার পানবাজার বন্ধ করা হয়েছে। তবে পান বেচাকেনা বন্ধ করা হবে না। তাই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ শনিবার সব বাজারের ইজারাদারদের ডেকে বৈঠক বসেন ইউএনও। বৈঠককে দীর্ঘ আলোচনার পর গণবাজার না বসিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় পান বেচাকেনার উপর জোর দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, সবার সমন্বিত পরামর্শ মতে, পান বেচাকেনায় আপাতত তিনটি ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। প্রথম ব্যবস্থা হবে পানের পাইকাররা ক্রেতাদের বাড়ি ও পাড়ার মোড়ে মোড়ে গিয়ে পান ক্রয় করবে। দ্বিতীয় ব্যবস্থা হলো, ভিড় কমাতে সপ্তাহের পাঁচদিনই বাজার বসানো হবে সীমিত পরিসরে। তৃতীয় পদ্ধতি হলো, একটি বাজারকে ক্ষুদ্রভাবে তিন জায়গায় বসানো হবে এবং নির্দিষ্ট স্থানে খুঁড়ি গুজে দিয়ে দূরত্ব বজায় বেচাকেনা করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামিরুল ইসলাম বলেন, পান মহেশখালীর প্রধান অর্থকরী পণ্য। এই পণ্য বিক্রি করতে না পারলে মহেশখালীর অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। তার প্রভাব সরকারের উপর পড়বে। সে জন্য যেকোনো পদ্ধতিতে পানবেচা কোন সচল রাখা হবে।