রফিক মাহমুদ, উখিয়া:
উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় কমপক্ষকে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় গ্রামবাসীরা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার, সন্ধ্যা ৭টার দিকে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন। ৫ জনকে আটক করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আটককৃতদের মধ্যে নিয়মিত মামলার আসামী আলী হোছনের ছেলে আহমেদ শরীফ। সংঘর্ষ চলাকালে আটক ইসলাম মিয়ার ছেলে জাফর আলম (৪৮), আলী আহমদের ছেলে মমতাজ মিয়া, মৌলভী ইসলামের ছেলে সিরাজ উল্লাহ (২৮), বদিউল আলমের ছেলে হাকিম আলী। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে উখিয়ার জালিয়াপালং পশ্চিম সোনাইছড়ি এলাকার বাসিন্দা আলী হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা গত কয়েকদিন পূর্বে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ঘটনায় এনজিও কর্মী দেলোয়ার হোসেনসহ ৩ জনকে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার উখিয়া থানার দায়েরকৃত মামলা যার নাম্বর ৪৫, তারিখ ৩১/৩/২০২০, ধারা- ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬/৩৪।

উক্ত মামলায় তালিকা ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করতে শুক্রবার বিকালে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে আহমদ শরীফকে আটক করে। সে একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে বলে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

পরে উখিয়ার সোনাইছড়ি গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে শীর্ষ মানবপাচারকারী শামসুল আলম সোহাগ ও একই গ্রামের বজল আহমদের পুত্র সানা উল্লাহ সহ একদল সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় আহতরা হলেন, সোনাইছড়ি গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আবদুস কুদ্দুস (৪৫), আমির হোসেনের ছেলে ফরিদুল আলম (৪৭ হোসেন (২৫), মোঃ রনি (২১), মোহাম্মদ রাসেল (২২), সানা উল্লাহ (৪০), তার ভাই ও জাফর আলম। বাকীদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে উখিয়া ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
উখিয়া থানা পুলিশ ও ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে রয়েছে ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে ঘটনার সাথে জড়িত জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী ছেলে আহমদ শরিফকে আটকের খবর পেয়ে মা স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেন। তবে অপর পক্ষের দাবী ঘটনায় আঘাতেই মারাত্মক আহত হলে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিদ্ধাথ সাহ বলেন, দেলোয়ার হোসেন হত্যাচেষ্টার মামলায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী মারা মারির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আলী হোসেনের স্ত্রী নুর নাহারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে মহিলাটি কেন মারা গেছে তা আমি জানিনা। আমি এখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডাঃ মেরাজ হোসেন চয়ন বলেন, মৃত অবস্থায় রোগী কোটবাজার অর্জিন হাসপাতালে আসেন। লাশের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং স্ট্রোকে রোগির মৃত্যু বলে ধারনা।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।