মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজার জেলায় দ্বিতীয় করোনা ভাইরাস রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। রোগীর নাম আক্কাস। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফেসবুক পেইজে ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১ টার দিকে দেওয়া একটি পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন,
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের দক্ষিণ নয়াপাড়ায় বিজিবি ক্যাম্পের পাশে আক্কাসের বাড়ি। এলাকাবাসী জানান, করোনা ভাইরাস সনাক্ত হওয়া আক্কাস দীর্ঘদিন ধরে সাবরাং দক্ষিণ নয়াপাড়ায় নিজের এলাকায় আসছেন না। আক্কাস বাংলাদেশ পুলিশে চাকুরীতে থেকে বর্তমানে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর একজন সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পেইজবুক পেইজ দেওয়া পোস্ট থেকে জানা যায়, ৩ এপ্রিল শুক্রবার বর্তমানে র্যাব সদস্য আক্কাসের স্যাম্পল টেস্ট করে তার শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণুর আলামত পাওয়া গেছে। আক্কাস টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায় শ্বশুর বাড়ীতে এসে গত ২০ মার্চ হতে ২৬ মার্চ পর্যন্ত থেকেছে। বেড়াতে এসে আক্কাস যেসব এলাকায় থেকেছে, এসবের মধ্যে তার ও তার পরিবারের সংস্পর্শে আসা টেকনাফের পৌরসভার ৬টি বাড়ি, ৮ টি দোকান, কেয়ারল্যাব এবং সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ১ টি বাড়ি টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন ৩ এপ্রিল লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
টেকনাফের পুরাতন পল্লান পাড়ায় শ্বশুর বাড়ী থেকে ফিরে যাওয়া আক্কাস বর্তমানে ঢাকায় একটি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে টেকনাফবাসীকে আতংকিত না হয়ে সকলে সচেতন হয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে উক্ত পোস্টে।
এ বিষয়ে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পেইজবুক পেইজে দেওয়া পোস্টটি নিন্মে হুবহু তুলে ধরা হলো :
“অালহামদুলিল্লাহ টেকনাফে এখনো পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায় শ্বশুর বাড়ীতে ২০-২৬ মার্চ বেড়াতে আসার পর ফিরে যাওয়া বর্তমানে ঢাকায় অবস্থানরত আক্কাস নামে এক র্যাব সদস্যের শরীরে আজ করোনা ভাইরাসের আলামত পাওয়া যাওয়ায় উক্ত তারিখে তার এবং তার পরিবারের সংস্পর্শে আসা টেকনাফের পৌরসভার ৬টি বাড়ি ও ৮ টি দোকান, কেয়ারল্যাব এবং সাবরাং শাহপরীর দ্বীপে ১ টি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। আতংকিত না হয়ে এবং বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে আমরা সকলে সচেতন হয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করব ইনশাআল্লাহ।”
প্রসঙ্গত, র্যাব সদস্য আক্কাস হলো করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হওয়া কক্সবাজার জেলার দ্বিতীয় বাসিন্দা। এর আগে কক্সবাজারের চকরিয়ার খুটাখালী দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মুসলিমা খাতুনের শরীরে গত ২৪ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত করা হয়।