সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার শহরে অর্ধলক্ষেরও বেশি শ্রমজীবি অসহায় মানুষ এখন সবচেয়ে বেশি বিপদে। তার মধ্যে প্রয় ১০ হাজার মানুষ আছেন ‘দিন আনে দিন খায় । প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলা অঘোষিত লকডাউনে তাঁরা যাবেন কোথায় ? শ্রশ্ন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন কক্সবাজারের নেতৃবৃন্দের।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দের দাবি, দোকান কর্মচারী , আবাসিক হোটেল শ্রমিক, রেস্তোঁরা হোটেল শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, লোড-আনলোড শ্রমিক, ফ্লাওয়ার মিল শ্রমিক, বরফ কল শ্রমিক, রিক্সা শ্রমিক, টম টম শ্রমিক, ওয়ার্কশপ শ্রমিক, ইলেকট্রিক শ্রমিক, পেট্রোলিয়াম শ্রমিকদের সব ধরণের কর্মকান্ড বন্ধ, ৯০% এসব শ্রমিকরা ‘দিন আনে দিন খায়। করোনায় তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, ভবিষ্যতে হবেন।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন কক্সবাজারের জেলা সভাপতি মাওলানা আলমগীর বলেন, মাননিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা, মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচী দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে যদি বাস্তবায়ন করতে হবে।এই কর্মসূচী সেনাবাহীনি দিয়ে পরিচালনা করলে অনেক স্বচ্ছ হবে বলে আমি মনে করি। তার সাথে অসহায় মানুষের দুঃখ লাঘবে সমাজের বিত্তবান লোকেরা এগিয়ে আসে দেশের এই বিশাল সংকট থেকে আমাদের উত্তরণ সম্ভব।
এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:১৭৩১)এর সভাপতি আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হোটেলে শ্রমিকদের সহায়তা চেয়ে ইতিমধ্যে সংগঠেনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতি আবেদন করা হয়েছে। সরকার ট্রেড ইউনিয়নের শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থাকলেও তাঁদের কাছে কখনোই পৌঁছায় না, অতীতে তা আমরা দেখেছি । সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় স্বল্প পরিসরে যে উদ্যোগগুলো আছে, সেখান থেকেও ঠিকমতো সুবিধা পান না তাঁরা। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এই অসহায় শ্রমজীবীদের সুরক্ষা দিতে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা নেই।
দেশের এই মূহুর্তে রাজনৈকিসহ বিভিন্ন জটিলতার ঊধ্বে উঠে জরুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।
কক্সবাজর স্টেডিয়াম পাড়া সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের এই পাড়ায় শখানেক পরিবার রয়েছে তাদের মধ্যে ৯৭% মানুষ দিন আনে দিন খায়।ঘরে বন্দী এই মনুষগুলি এখনো কোন সাহায্য পায়নি। বিভিন্ন পাড়া/মহল্লায় তহবির সংগ্রহ করে গরিব অসহায় পরিবারের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা হচ্ছে, স্টেডিয়াম পাড়া গরিব এলাকা হওয়ায় আমাদের পক্ষে তাও সম্ভব হচ্ছে না। সমাজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের কাছে সহযোগিতার আবেদন করেছি, একটি সংগঠন থেতে আশ্বাসও পেয়েছে।তা দিয়ে দুই দিন মত চলবে তারপর ? এলাকার কমিশনা ,পৌর প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের প্রতি সহায়তার আবেদন জানাচ্ছি।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চলা অঘোষিত লকডাউনে রোজগার ইতিমধ্যে বন্ধ হওয়া শ্রমজীবি মানুষের দুশ্চিন্তা, সংসার কীভাবে চলবে?জীবন বাঁচাব কি ভাবে?