কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজী পাড়ায় ‘জমি অধিগ্রহণের গচ্ছিত টাকা চাওয়ার জেরে প্রতিবন্ধি সৎ-ভাইকে মারধর করলেন ভাইস-চেয়ারম্যান রশিদ মিয়া’ শিরোনামে স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রচারিত সংবাদ আমার (রশিদ মিয়া) দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে যে ধরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি আমার (রশিদ মিয়া) মানহানিকর তথ্য প্রচারিত হয়েছে। এতে প্রকৃত ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তিলকে তাল বানানো হয়েছে।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমার মরহুম পিতা নবাব মিয়ার ৩ জন স্ত্রী রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথম স্ত্রীর পুত্র সন্তান ফরিদ মিয়াকে ২০০২ সালে কতিপয় দূর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলায় আমার মরহুম পিতাসহ আমাকেও আসামী করা হয়েছিল। পরে মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় বিগত ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর আদালত আমাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

এ হত্যাকান্ডের পর থেকে প্রতিহিংসা বশত: আমার পিতার প্রথম স্ত্রীর সন্তান জহির মিয়া কাজল কর্তৃক বিগত ২০১২ সালে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা দায়েরসহ নানা হয়রানি অব্যাহত রাখে। এমন কি এলাকায় আমার সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দিয়ে নানা ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার চালিয়ে যেতে থাকে।

সকলের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, নির্মাণাধীন দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পে আমার পিতার মালিকানাধীন কিছু পরিমান জমি অধিভূক্ত হয়েছে। সরকারের উক্ত জমির ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য আমার পিতার সকল ওয়ারিশগণ আমমোক্তারনামা দিয়ে আমাকে দায়িত্ব প্রদান করে। সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা আদায়ের পর সকল ওয়ারিশগণকে যার যার প্রাপ্য প্রদান করেছি। এর মধ্যে ছোট সৎ মায়ের ছেলে বেদার মিয়া প্রতিবন্ধি হওয়ায় তার প্রাপ্য অংশের ১৪ লাখ টাকা পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার কাছে গচ্ছিত ছিল।

গত মাসখানেক আগে বেদার মিয়ার প্রাপ্য টাকা দিয়ে পৈত্রিক ভিটায় বাড়ী নির্মাণ করে তাকে বিবাহ করানোর জন্য পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বাড়ী নির্মাণে জায়গা স্বল্পতার কারণে আমার মায়ের গর্ভের বড় বোন রোকেয়া বেগমের প্রাপ্য অংশের আড়াই কড়া জমি বেদার মিয়ার জন্য ক্রয়ের চুক্তি হয়েছে। এরপর বাড়ী নির্মাণের উদ্দ্যেশে বসত ভিটার নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। এছাড়া কেনা হয়েছে কিছু পরিমান ইট, বালি ও কংকর। এ নিয়ে মিজান দেওয়ান নামের এক ঠিকাদারের সঙ্গে নকশা তৈরীসহ বাড়ী নির্মাণের চুক্তিও হয়েছে।

সম্প্রতি আমার বাড়ীর আসা-যাওয়ার পথের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলেছিল বেদার মিয়া। এতে দুর্গন্ধে বাড়ীতে বসবাস করা দূরহ হয়ে পড়ে। বেদার মিয়াকে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য কয়েকবার বারণ করি। এছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে আমি নিজে বসত ভিটা পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও এ নিয়ে সচেতন করি। তারপরও বেদার মিয়া বাড়ী আসা-যাওয়ার পথে ময়লা-আবর্জনা ফেলা অব্যাহত রাখে। মূলত: আমার সৎ ভাই ও ঝিলংজা ইউপি’র ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহির মিয়া কাজলের ইন্ধনে বেদার মিয়া ময়লা-আবর্জনাগুলো ফেলা অব্যাহত রাখে।

এ নিয়ে গতকাল সোমবার (৩০ মার্চ) বাড়ী আসা-যাওয়ার পথে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে দেখে বেদার মিয়াকে ডেকে শাসাই। এতে এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হয়। এসময় আমি রাগান্বিত হয়ে সুপারী গাছের ঢাল দিয়ে বেদার মিয়াকে দু’য়েক ঘা প্রহার করি। এতে সে সামান্য আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে।

এ ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সৎ-ভাই জহির মিয়া কাজল ও তার স্ত্রীর যোগসাজশে প্রতিবন্ধি সৎ-ভাই বেদার মিয়ার টাকা আত্মসাতের উদ্দ্যেশে মারধর করা হয়েছে নানা মহলে অপপ্রচার করতে থাকে। এ অপপ্রচারে যুক্ত হয়েছে জহির মিয়া কাজলের স্ত্রীর ভাই ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হাজী জসিম উদ্দিনও। এ নিয়ে প্রতিহিংসা বশত: সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

মূলত: এ ঘটনাটিকে তালগোল পাকিয়ে আমার প্রতিবন্ধি সৎ-ভাই বেদার মিয়ার জমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাত করতে মারধর করা হয়েছে অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। এতে জনমনে নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি সমাজে আমার মানহানির ঘটনা ঘটেছে।

প্রকাশিত সংবাদে সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ এবং মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারি:

রশিদ মিয়া

ভাইস-চেয়ারম্যান,

কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ।