সিবিএন ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যে শ্রমজীবী মানুষ যাতে খাদ্যকষ্টে না ভোগে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সোমবার এক ভিডিও বার্তায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সঠিক দিক-নির্দেশনা ও মানবতাবাদী মনোভাবের কারণে আজকে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বিশ্বে সবচেয়ে ভালো অবস্থা বিরাজ করছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে মোট ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এরমধ্যে ২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন, মারা গেছেন ৫ জন। বর্তমানে বাংলাদেশে মাত্র ২০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছেন, তারা সকলে সুস্থ আছেন। আমরা মনে করি বাংলাদেশ কমিউনিটি স্প্রেডের (সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়া) শঙ্কাটা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে আছে।’

তিনি বলেন, ‘সাড়ে ৬ লাখ প্রবাসী গত তিন মাসে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। সকলেরই প্রায় কোয়ারেন্টাইন পিরিওড পার হয়ে গেছে। তারাও আর আমাদের জন্য কোনো শঙ্কার কারণ নয়।’

‘আমি মনে করি ঘোষিত ছুটির সময় ৪ এপ্রিলের পর বাংলাদেশ করোনামুক্ত হয়ে যাবে। আমরা আমাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে পারব।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকালও আমাদের টেলিফোনে নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই লকডাউনে কোনো কর্মজীবী মানুষ উনি উল্লেখ করেছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ফেরিওয়ালা, চা বিক্রেতা, দিনমজুর কেউ যেন খাদ্যকষ্টে না ভোগে। সকলের পাশে যেন প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীরা খাদ্য নিয়ে হাজির হন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন এই কর্মসূচি যেন আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তার নির্দেশে গত ২৪ মার্চ ২৪ হাজার ৭০০ টন চাল এবং ৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেই। এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকদের মনিটরিং করি। ২৮ মার্চ তারা জানিয়েছেন, তাদের কর্মকাণ্ড চলছে, তাদের চাল এবং টাকা প্রায় ফুরিয়ে আসছে। এটা জানার পর আমরা ২৮ মার্চ আবার সাড়ে ৬ হাজার টন চাল ও এক কোটি ৩১ লাখ টাকা নতুন করে বরাদ্দ দিয়েছি।’

‘গতকাল রাত ৮টার পর থেকে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে মেইল এসেছে, এছাড়া আমাদের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যরা জানিয়েছেন- মজুদ প্রায় ফুরিয়ে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা আজ ২টার সময় নতুন করে সকল জেলায় চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেব।’

এনামুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা জানিয়েছেন, অনেক জায়গায় পৌরসভা আছে, মহানগর আছে, তারা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে সেভাবে সাহায্য পাচ্ছে না। আজকে আমরা একটা নির্দেশনা পাঠিয়ে দেব, বরাদ্দও বাড়িয়ে দেব। যেখানে পৌরসভা আছে, যাতে পৌরসভার কর্মহীন লোকেরাও খাদ্য সংকটে সহায়তা পায়।’

ছুটির দিনেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থার মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।