খলিল চৌধুরী, সৌদি আরব
মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন পবিত্র মক্কা মুকাররমার মসজিদে হারাম এবং মদিনা মুনাওয়ারার মসজিদে নববি।

এই দুই পবিত্র মসজিদে সবসময়ই একাধিক ইমাম-মুয়াজ্জিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার পবিত্র কাবা শরিফের নামাজ ও আজানের দায়িত্ব পালনে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হারামাইন কর্তৃপক্ষ।

নতুন সিদ্ধান্তের আলোকে নামাজের ইমামতি করবেন একজন। আজানের দায়িত্বে থাকবেন দুইজন মুয়াজ্জিন।

এটি ঘোষণা করেন মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির প্রধান ইমাম শায়খ ড. আব্দুর রহমান আস-সুদাইসি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শুধু মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববি ছাড়া সৌদি আরবের সব মসজিদে নামাজ স্থগিত করা হয়েছে। করোনায় সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে শুধু কাবা শরিফে ইমাম এবং মুয়াজ্জিনের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হারামাইন কর্তৃপক্ষ।

জরুরি পরিস্থিতিতে হারামাইন কর্তৃপক্ষ পরামর্শের আলোকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, একাধিক ইমাম ও মুয়াজ্জিন এ অবস্থায় কাবা শরিফের নামাজ এবং আজানে দায়িত্ব পালন করার প্রয়োজন হবে না।

কাবা শরিফের প্রধান ইমাম শায়খ ড. আব্দুর রহমান সুদাইসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ ও পর্যালোচনায় এই জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, পবিত্র নগরী মক্কা মুকাররমার মসজিদে হারামে প্রতিদিন নামাজের এ নতুন নিয়মটি ৫ শাবান মোতাবেক আজ ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।

চলতি সপ্তাহেও মক্কার মসজিদে হারামে তিনজন ইমাম নামাজ পড়িয়েছেন। মদিনার মসজিদে নববিতে নামাজ পড়িয়েছেন পাঁচজন ইমাম।

সপ্তাহের শুরুতে কতজন ইমাম ও মুয়াজ্জিন মক্কা-মদিনায় নামাজের জামাআত ও আজানের দায়িত্ব পালন করবেন এ সূচি প্রণয়ন করা হতো। এবার এ সূচিতে কাবা শরিফের নামাজ ও আজানের দায়িত্ব পালনে পরিবর্তন আনা হলো।

ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মধ্যে কারা কোন ওয়াক্তে আজান ও নামাজ পরিচালনা করবেন সপ্তাহের প্রথমেই তা নির্ধারিণ করা হয়। প্রতি সপ্তাহে দুই বা ততোধিক ইমাম কাবা শরিফ ও মদিনায় নামাজ পরিচালনা করতেন।