ফরিদুল আলম দেওয়ান, মহেশখালী:

দৃশ্যটি দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে কোন অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ির গুদামে বেআইনী মজুদকৃত মালামালের স্টকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের ছবি নয়। ইহা সমাজের নিস্বার্থ সেবকের একটি ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের ছবি।

দেশের উপর বয়ে যাওয়া যে কোন দূর্যোগে দিনে এনে দিনে খায় এমন প্রান্তিক হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির মানুষ গুলো চরম খাদ্য সংকটে পড়ে অনাহার অর্ধাহারি জীবন যাপনে পতিত হয়। এ সংকটে সরকারি বেসরকারি সংস্থা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেও দেশের জনসাধারণের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। আবার কিছু কিছু সংস্থা, কোম্পানী বা ব্যক্তি বিশেষের ধনাঢ্য ব্যক্তি ত্রাণ বিতরণের নামে নামমাত্র সামগ্রী নিয়ে ফটোসেশনে ব্যস্থ হয়ে পড়ে। দেশে করোনা সংক্রমনের এমনই দুর্যোগে মহেশখালী উপজেলার কয়লা বিদ্যুতের মেগা প্রকল্প খ্যাত মাতারবাড়ীর খাদ্য সংকটে পড়া খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিতে নাম প্রকাশ না করে নিঃস্বার্থ ভাবে নিজ ঘরে মজুতকৃত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল,ডাল,আলু ইত্যাদী প্যাকেট করার দৃশ্য এটি।

মাতারবাড়ীতে স্থানীয় ভাবে একজন দানবীর নেতা হিসেবে পরিচিত ওই ব্যক্তি গতকাল ১২০০ জন হত-দরিদ্রের মাঝে চাল , ডাল , আলু ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য প্যাকেট জাত করেছেন। দেশের এহেন দূর্যোগে নিজের কতৃত্ব, নাম,যস,খ্যাতি অর্জনের জন্য নয়, আর্ত মানবতার সেবায় বিত্তশালীরা এভাবেই অসহায় গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ালে ক্ষুধা ও দারিদ্রের যাতাকলে পিষ্ঠ হবে না মানবতা।