ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
কক্সবাজারের পথে পথে অসহায়, দরিদ্র, বেকার, ছিন্নমূল মানুষের খোঁজে বের হয়ে গেলেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। সত্যি অবাক লাগার ব্যাপার।
‘খাবার লাগবে? এখানে শুকনো খাবার আছে। প্যাকেটে রয়েছে চাল।’ এরকম কথা বলে বলে সাধারণ মানুষের হাতে হাতে খাবার সামগ্রী তুলে দেন ডিসি।
রবিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত শহরের কলাতলী, সুগন্ধা পয়েন্ট, সাগরপাড়, লাবনি পয়েন্ট, হলিডে মোড়ে খোঁজে খোঁজে রিক্সাওয়ালা, টমটম চালক, শ্রমিক, ভ্যান চালক, ভিক্ষুক, কিটকট ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
দোকানের বারান্দা কিংবা পথেঘাটে শুয়ে থাকা ছিন্নমূল মানুষকেও খাবার দেন জেলা প্রশাসক। তাতে বেশ তৃপ্তি অনুভব করেন তিনি।করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা সরবরাহের কার্যক্রম শহর ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয়েছে।
এর আগে সদরের ঝিলংজা পূর্ব লাহার পাড়ায় ঘরেঘরে গিয়ে নিজের হাতে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। ত্রাণের জন্য বের হতে হবে না। আমরা ঘরে ঘরে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পৌঁছিয়ে দেব।
জেলা প্রশাসক বলেন, আপাততঃ প্রতি পরিবারে ২০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। এ প্রক্রিয়া শুরু মাত্র। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্টতা জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী কোন অসহায় দরিদ্র মানুষ কষ্টে আছে কিনা খোঁজ নিতে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক।
একই দিন হোটেল মোটেল জোনে (জাম্বুর মোড়) ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় জীবাণুনাশক পানি ছিটানোর কার্যক্রম শুরু করেন জেলা প্রশাসক।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল,  জেলা ত্রাণ ও পুুুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।